প্রথমবারের মতো নাসায় বাংলাদেশি স্কুলের শিক্ষার্থীরা

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার : ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ-এর শিক্ষার্থীদের একটি দল এ বছর নাসা হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করছে। এরই মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থীর এই দলটি নাসা আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আমেরিকায় পৌঁছে গেছে। ১৪ টি দেশের কয়েক হাজার আবেদনের মধ্য থেকে ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ৭২টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। নাসা হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার চ্যালেঞ্জ ২০২৪-এ অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র স্কুল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ (আইএইচএসবি)।

আগামী ১৯ এপ্রিল আমেরিকার আলাবামার হান্টসভিলে ইউএস স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টারে দুই দিনব্যাপী ৩০ তম বার্ষিক নাসা হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার চ্যালেঞ্জ ২০২৪ শুরু হবে। বিভিন্ন দেশের নামকরা কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি একমাত্র স্কুল হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ। বাংলাদেশি এই দল নাসা হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার চ্যালেঞ্জ ২০২৪-এ ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নামক একটি রোভার প্রদর্শন করবে।

ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ-এর বিজ্ঞানশিক্ষক এবং স্টেম ফেস্ট সমন্বয়ক ওতমান চারমৌকার নেতৃত্বে নাসা হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার চ্যালেঞ্জ ২০২৪-এ অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে মোঃ আসিফুল হক, আহমেদ মুজতবা হোসেন জারিফ, ফেরদৌস আহমেদ,মোঃ হাসান জাফির প্রধান, আফরাজ আজমাইন হক, জাওয়াদ হোসাইন, ওয়ার্দা কারিচা জারা, শাহজাদি আয়মান সুলতানা, মাহজাবিন আলম রোশনি এবং সামিহা তাসনিম খান। এছাড়াও এই দলের সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ-এর ভাইস প্রিন্সিপাল গেরিম্যান আলামিরাদভ।

ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ-এর প্রিন্সিপাল রোখসানা জারিন বলেন, ‘বিজ্ঞানমনস্ক নতুন প্রজন্ম তৈরি করতে আমাদের স্কুল অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাাচ্ছে। বিজ্ঞানচর্চায় আমাদের শিক্ষার্থীদের অগ্রযাত্রা নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও তারা সুনাম অর্জন করছে। বাংলাদেশ থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরাই প্রথম এত বড় একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। বড় বড় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি স্কুল হিসেবে একমাত্র আমরাই এবার সুযোগ পেয়েছি। নাসা হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার চ্যালেঞ্জ ২০২৪-এ আমাদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করবে। আমরা আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ, তাদের আন্তরিক সহযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ সম্ভব হয়েছে।’