- মাদ্রিদ ছাড়ছেন মদরিচ
স্পোর্টস ডেস্ক : গত মৌসুম শেষে এক বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছিলেন। বয়স হয়ে গেছে ৩৯, এই মৌসুমে ক্লাবের পারফরম্যান্সও ভালো ছিল না, তিনিও একেবারে আগের মতো নিয়মিত আর ছিলেন না একাদশে- লিগে ৩৪ ম্যাচ খেললেও এর মধ্যে শুরুর একাদশে ছিলেন মাত্র ১৬ ম্যাচে। এর মধ্যে হচ্ছে কোচের বদল। রেয়াল মাদ্রিদে নতুন দিনে লুকা মদরিচ কি থাকবেন, আরেক মৌসুমের জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন কি হবে – প্রশ্নগুলো তাই বাতাসে ঘুরছিল।
উত্তরটা আজ এসে গেল। তবে উত্তরটা ফুটবল রোমান্টিকদের জন্য হতাশার। মাদ্রিদ আজ জানিয়ে দিল, ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ড ‘মায়েস্ত্রো’র সঙ্গে তাঁদের সোনালি অধ্যায়টা শেষ হয়ে যাচ্ছে। চুক্তি নবায়ন আর হচ্ছে না। আগামী জুন-জুলাইয়ে ক্লাব বিশ্বকাপই মাদ্রিদের জার্সিতে মদরিচের শেষ অভিযান হয়ে থাকছে বলে জানিয়েছে লস ব্লাঙ্কোস।
কার্লো আনচেলত্তি চলে যাচ্ছেন, ব্রাজিলের কোচ হচ্ছেন, এটা নিশ্চিত। তাঁর জায়গায় এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও শাবি আলোনসোই যে মাদ্রিদের কোচ হচ্ছেন, এটাও নিশ্চিতই। ডাগআউটের বাইরে স্কোয়াডেও কিছু নতুন নাম যোগ হচ্ছে। ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ডের যোগ দেওয়াও বলতে গেলে নিশ্চিত। এর বাইরে আরও নতুন নতুন খেলোয়াড়ের সঙ্গে মাদ্রিদের নাম জড়িয়ে গুঞ্জন ছড়াচ্ছে প্রতিদিন। মাদ্রিদে নতুন দিন শুরু হচ্ছে।
কিন্তু সে নতুন দিনে থাকছেন না গত এক দশকে – আরও নির্দিষ্ট করে বললে ২০১৮ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মাদ্রিদ ছাড়ার পর থেকে-মাদ্রিদের সবচেয়ে বড় ভরসা হয়ে থাকা লুকা মদরিচ। ১৩ বছরের, ৬টি চ্যাম্পিয়নস লিগ উদ্যাপনের, সঙ্গে ৪টি লিগ শিরোপা, আর এ সবের মাঝে ‘ধ্রুবতারা’ হয়ে জ্বলতে থাকা – মেসি আর রোনালদোর যুগেও বালন দ’র জয়ের প্রথম কীর্তির (২০১৮) – গল্প লিখে যাওয়া অধ্যায় শেষ হয়ে গেল।
বিবৃতিতে যেমন শব্দ লেখা থাকে, তেমনই এক বিবৃতিতে মদরিচকে ‘ক্লাবের ইতিহাসের ও ফুটবলেরই সেরা লেজেন্ডদের একজন’ জানিয়ে মাদ্রিদ তাঁর সঙ্গে এই ‘অবিস্মরণীয় অধ্যায়ের’ শেষে এসে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। আগামী শনিবার সান্তিয়াগো বের্নাবাউয়ে লিগে মাদ্রিদের শেষ ম্যাচে মদরিচকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হবে বলেও জানিয়েছে।
আর মদরিচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রিয় মাদ্রিদিস্তারা, সেই সময়টা চলে এসেছে। যে সময়টা আমি কখনো চাইনি আসুক। কিন্তু ফুটবল – জীবনই – তো এমন, যা কিছুরই শুরু আছে, তার শেষও থাকে।’
শুরুর দিনের চাওয়ার সঙ্গে পরের ১৩ বছরের প্রাপ্তির পার্থক্যটা তুলে ধরে লিখেছেন, ‘২০১২ সালে এসেছিলাম বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটির জার্সি গায়ে ওঠানোর, দারুণ কিছু করার ইচ্ছা নিয়ে। এর পর যা হলো, তা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। রেয়াল মাদ্রিদে খেলা একজন ফুটবলারের পাশাপাশি একজন মানুষ হিসেবেও আমার জীবন বদলে দিয়েছে। আমি গর্বিত যে আমি ইতিহাসের সেরা ক্লাবটির অন্যতম সফল যুগের অংশ হতে পেরেছি।’