স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক পেসার শান্তাকুমারান শ্রীশান্ত মানেই যেন বিতর্ক। আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হয়ে ২০১৩ সালে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। যদিও বিসিসিআইয়ের দেয়া সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে ২০১৯ সালের মার্চে আদালত শ্রীশান্তকে মুক্তি দেন। তবে এবার ভিন্ন আরেক কারণে ফের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
ভারতের কেরালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেসিএ) ভারতীয় সাবেক এই পেসারকে ৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। যার ফলে শ্রীশান্ত রাজ্য ক্রিকেটের কোনো ধরনের কার্যক্রমে আর অংশ নিতে পারবেন না। উল্লেখ্য, কেরালা ক্রিকেট লিগের দল কোল্লাম এরিসের মালিকানায় অংশীদারত্ব আছে শ্রীশান্তর।
যদিও তিন বছরের এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শ্রীশান্ত ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে অবগত নন। মূলত রাজ্যের ক্রিকেট বোর্ডের (কেসিএ) বিরুদ্ধে অপমানজনক ও বিভ্রান্তিকর কথা বলার দায়ে শ্রীশান্তকে নিষিদ্ধ করেছে কেরালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। গত ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বোর্ডের এক সাধারণ সভায় সাবেক এই ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শ্রীশান্তের এমন নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে আছেন রাজস্থান রয়েলসের অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। ভারতের এই ক্রিকেটারকে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে না রাখায় শ্রীশান্ত কেসিএ-র সমালোচনা করেছিলেন। ভিজয় হাজারে ট্রফির জন্য কেরালা দল থেকে স্যামসনকে বাদ দেওয়ায় স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলে শ্রীশান্ত কেসিএকে একহাত নিয়েছিলেন। তাঁর মতে, কেরালা দলে না থাকার কারণে স্যামসন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা পাননি, যার সব দায়ভার কেরালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে দেন শ্রীশান্ত।
ভারতের সাবেক এই বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের মন্তব্য অপমানজনক ও ভিত্তিহীন দাবি করে কেরালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা বিনোদ কুমার ক্রিকবাজকে বলেন, ‘ওর জবাব (স্যামসনের বাদ পড়া ইস্যুতে) সন্তোষজনক ছিল না। ও স্যামসনের ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার জন্য আমাদের দায়ী করেছে।’ বিনোদ কুমার আরও জানান, শ্রীশান্ত সহ আরও একাধিক ব্যক্তিকে আইনি নোটিশ দিয়েছে কেসিএ।
ভারতের আরেক গণমাধ্যম এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, শ্রীশান্ত কেসিএ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নোটিশের জন্য অপেক্ষা করছেন। এবং তিন বছরের এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের সাবেক এই পেসার আইনিভাবে লড়বেন।