আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর আহ্বানের পরও সীমান্তে গোলাগুলি করেছেন দু দেশের সেনারা। বুধবার রাতে টানা সপ্তম দিনের মতো গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কাশ্মীরের বিষয়ে ফোনে কথা বলেছেন। দু দেশকে সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে উৎসাহিত করেন তিনি।
এনডিটিভি লিখেছে, এ অবস্থাতেই জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, উরি এবং আখনুর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ করেছে। টানা সপ্তম রাতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাবাহিনীও প্রতিক্রিয়ায় গুলিবর্ষণ করেছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে বিরোধপূর্ণ দু দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ওইদিন রাতেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সীমান্তরেখায় গুলি ছোড়ে, পাল্টা গুলি করে ভারতও। তবে এতে এ পর্যন্ত প্রাণহানির খবর আসেনি।
পিটিআইকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) আলোচনা করেছেন এবং পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।
প্রতিবেদন বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ফলে ২০০৩ সালের চুক্তিটি এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অথচ উভয় পক্ষই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছিল। এতে ৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এরইমধ্যে জোর দিয়ে বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়ার ধরণ, লক্ষ্য এবং সময় নির্ধারণের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা রয়েছে।
পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর এরই মধ্যে ভারত–পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। উত্তেজনা চলছে সীমান্তে। হামলার পেছনে পাকিস্তান-ভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছে ভারত। তবে পাকিস্তান এ দাবি অস্বীকার করে আসছে।