আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে শহিদ রাজি বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। পরিস্তিতি বিচেনায় কর্তৃপক্ষ বন্দর আব্বাসহ স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে, আজ শনিবার শহিদ রাজি বন্দরের একটি ফুয়েল ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৫১৬ জন আহত হয়েছেন। কী কারণে ট্যাঙ্কারটি বিস্ফোরিত হয়েছে তার কারণ জানা যায়নি।
হরোমজান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের প্রধান পরিচালক বলেন, ‘আহতের উদ্ধার করে হরমোজান হাসপাতালে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণটি ব্যাপক শক্তিশালী ছিল। তবে এর কারণ এখনও অজানা।’
প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, বন্দরের একটি প্রশাসনিক ভবন থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে ভবনটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং একাধিক গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তা এবং জরুরি উদ্ধারকারী দল আপাতত বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিস্ফোরণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, কাশেম এলাকা থেকেও শব্দ শোনা গেছে। এই এলাকাটি বন্দর আব্বাস থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণস্থল থেকে কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী এবং আগুনের গোলা উঠে আসছে। অন্যান্য ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেক ভবন ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মে মাসে ইসরায়েল এই বন্দরে বড় ধরনের সাইবার হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই হামলায় বন্দরটির কম্পিউটার সিস্টেম বিধ্বস্ত হয়েছিল এবং পরিবহন বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল।
ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, শহীদ রাজি বন্দর ইরানের সবচেয়ে আধুনিক সামুদ্রিক বন্দর। এটি হোরমোজগানের প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাস থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং হরমুজ প্রণালীর উত্তর দিকে অবস্থিত। এই বন্দর দিয়ে পৃথিবীর মোট উৎপাদিত তেলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবহণ করা হয়। তবে শহিদ রাজি বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।