ক্যানসার চিকিৎসায় আইসিডিডিআরবিতে সর্বাধুনিক পদ্ধতি চালু

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার : ক্যানসার কোষের জিনগত পরিবর্তন বা মিউটেশন শনাক্তের সর্বাধুনিক পদ্ধতি চালু হলো আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি)। এতে একজন রোগীর ক্ষেত্রে কোন ওষুধ কাজ করবে, কোনটি করবে না তা জানা যাবে সহজেই। নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েনসিং নামের এ পদ্ধতিতে ১২ ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা যায়। এর জন্য খরচ হবে ১১ থেকে ৩৪ হাজার টাকা। তবে বিদেশে এ খরচ প্রায় দ্বিগুণ।

দেশে এক লাখ ৭০ হাজারের মতো মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত। সবার ক্ষেত্রে সব ওষুধ কাজও করে না। এতে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়, ছড়িয়ে পড়ে ক্যানসার।

আইসিডিডিআরবি জেনোম সেন্টারের ড. মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, ক্যানসার কোষের মিউটেশন জানার পদ্ধতি চালু হলো আইসিডিডিআরবিতে। মাসে দুই শতাধিক ক্যানসার কোষের নমুনা পরীক্ষা করা হবে এখানে। রিপোর্ট মিলবে ১৫ দিনে। বিদেশের চেয়ে খরচ অর্ধেকের কম। এ প্রক্রিয়ায় নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েনসিং এবং রোবটিক মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।

আইসিডিডিআরবির আইডিডির ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ পদ্ধতিতে ক্যানসার কোষের জিনগত মিউটেশন বা পরিবর্তন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এর ওপর ভিত্তি করে কোন ওষুধ কার্যকর আর কোনটি কাজ করে না তাও জানা যায়। এতে রোগীর সুস্থতার সম্ভাবনা বাড়ে।

নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েনসিংয়ের মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্তের ব্যবস্থা দেশের সরকারি কোনো হাসপাতালে নেই।