বিনোদন ডেস্ক : ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণির বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ এবার রূপ নিল মামলায়। গত ৩ এপ্রিল ঢাকার ভাটারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার।
এবার, পরীকে ১ নম্বর আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন সেই গৃহকর্মী। দ্বিতীয় আসামি হিসেবে নাম আনা হয়েছে সৌরভের। সম্প্রতি আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মামলাটি করেন পিংকি আক্তার।
পিংকি আক্তার জানান, ‘এর আগে আমি ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। কিন্তু সেখানে কোনো সহযোগিতা পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে গিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অসুস্থ হওয়ায় গ্রামের বাড়িতে এসেছি। ঢাকায় ফিরে একটি সংবাদ সম্মেলন করব।’
অভিযোগে পিংকি জানান, পরী মণি তাঁর এক বছরের দত্তক মেয়েকে খাবার খাওয়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। পরী মেকআপ রুম থেকে বেরিয়ে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং একপর্যায়ে বেধড়ক মারধর করেন। একের পর এক মাথায় তাঁকে আঘাত করতে থাকেন, যার ফলে পিংকি তিনবার ফ্লোরে পড়ে যান। পরবর্তী সময়ে, পরী তাঁর বাম চোখে প্রচণ্ড থাপ্পড় মারেন, যার ফলে চোখে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
পিংকি আরও জানান, মারধরের পর তিনি কান্না করতে থাকেন এবং পরীর কাছে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য সাহায্য চান। তবে পরী মণি তাঁকে যেতে নিষেধ করে বলেন, ‘তুই এখান থেকে কোথাও যেতে পারবি না। তোকে এখানেই মারব এবং এখানেই চিকিৎসা করব।’
একপর্যায়ে পিংকি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে জ্ঞান ফিরলে পিংকি রিকশা নিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনাটি এখনও তদন্তাধীন। এদিকে পরী জানিয়েছেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন মেনেই এগোবেন।