স্টাফ রিপোর্টার : গ্লোব বায়োটেকের করোনার ভ্যাক্সিন পরীক্ষায় ব্যবহৃত ২৩টি বানর এখন মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায়। চার বছর আগে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান থেকে ৫৬টি বানর তুলে আনে ওষুধ কোম্পানিটি। পরে ল্যাব পরীক্ষায় ব্যবহার হয় এই বানরগুলো। প্রাণী গবেষকেরা বলছেন, ল্যাবের বানর চিড়িয়াখানায় প্রর্দশন না করে ওষুধ শিল্পের পরীক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা যায়।
মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় নতুন ২৩টি বানর আনা হয়েছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের ল্যাব থেকে। এদের শরীরে গ্লোব বায়োটেকের করোনার টিকা বঙ্গভ্যাক্সের প্রতিষেধক রয়েছে। ল্যাব পরীক্ষা শেষে তিন মাসের কোয়ারেন্টিনে ছিল বানরগুলো। এখন প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে খাঁচায়।
গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি রেগুলেটরি অপারেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ভাওয়াল, মধুপুর বন ও সাফারি পার্ক থেকে বানরগুলো সংগ্রহ করেছিল। এখন করোনার বঙ্গভ্যাক্সের টিকা প্রকল্প স্থগিত, তাই ৫৬টির মধ্যে ১৭টি চিড়িয়াখানায় দেওয়া হয়েছে। বাকি বানরের হিসেব নেই।
তবে এভাবে প্রাকৃতিক বন থেকে সরাসরি নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিষেধকের ল্যাব পরীক্ষা অবৈজ্ঞানিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজ জামান বলেন, ভবিষ্যতে ওষুধ শিল্পে প্রতিষেধক তৈরির নমুনা হিসেবে এই বানরগুলো কাজে লাগানো সম্ভব।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন প্রতিষেধক তৈরিতে অন্তত লেভেল থ্রি মানের পরীক্ষাগার থাকতে হয়। যা বাংলাদেশে এখনও গড়ে উঠেনি।