নতুন শুল্কের ওপর স্থগিতাদেশের কথা ভাবছি না: ট্রাম্প

Print Friendly, PDF & Email

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নতুন শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য অন্যান্য দেশকে সুযোগ দিতে তিনি শুল্ক আরোপের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথা ভাবছেন না। আজ মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন একটি খবর প্রচারিত হয় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত নতুন শুল্কের ওপর ওয়াশিংটন ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ আরোপ করবে। তবে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে সেই খবর প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, খবরটি ‘ভুয়া’।

স্থগিতাদেশের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তাঁর ওভাল অফিসে সাংবাদিকেরা সরাসরি প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারটি (শুল্কের ওপর স্থগিতাদেশ) নিয়ে ভাবছি না। পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে আসছে, অনেক দেশের সঙ্গে ন্যায্য চুক্তি হতে চলেছে।’

মঙ্গলবারের (৮ এপ্রিল) মধ্যে বেইজিং তাদের প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা থেকে সরে না এলে চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলেও এ সময় হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি বলছে, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির জেরে সারা বিশ্বে শেয়ার বাজারে পতন নেমে এসেছে। ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন। পাল্টা চীনও ইটের বদলে পাটকেল হিসেবে ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপায়।

এই ঘটনায় এবার চীনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। গতকাল সোমবার তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, চীনকে মঙ্গলবারের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে চীনের পণ্যে। শুধু তাই নয় চীনের সঙ্গে সব মিটিং বাতিল করা হবে। এককথায় চীন থেকে সরে যাবে আমেরিকা।

চীন আগেই ঘোষণা করেছিল, আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে ১০ এপ্রিল থেকে। তার আগেই ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি। ফলে বিশ্বের দুই বড় অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করতে চলেছে।

ট্রাম্প অবশ্য শুধু চীনকে নয় অন্যান্য দেশকেও হুমকি দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘যদি কোনো দেশ আমাদের শুল্ক চাপানোর ওপর পাল্টা শুল্ক চাপায়, তাহলে একইভাবে নতুন করে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল চীন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্কের নামে আমেরিকা প্রচুর কর চাপায়। এই ঘটনায় অনেক দেশই সরাসরি ট্রাম্পের এই একগুঁয়ে আচরণের প্রতিবাদ করেছে। এমনকি আমেরিকার মধ্যেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।