স্পোর্টস ডেস্ক : গত সপ্তাহে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল ইন্টার মিয়ামি। আগামী বৃহস্পতিবার ঘরের মিঠে ফিরতি লেগে মিঠে নামবে ফ্লোরিডার ক্লাবটি।
সেমিফাইনাল ওঠার মহাগুরুত্বপূর্ণ ওই ম্যাচের আগে আজ সকালে এমএলএসের ম্যাচে টরন্টোর বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল মিয়ামি। ঘরের মিঠে শুরুতে দুবার এগিয়ে গেলেও মিয়ামির দুটি গোলই বাতিল হয় অফসাইড আর ফাউলে। এরমধ্যে প্রথমির্ধের যোগ করা সময়ে টরন্টোকে এগিয়ে দেন ফেদেরিকো বেরনারদেস্কি। তবে বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি টরন্টো। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে বক্সের ঠিক মিথা থেকে বাঁ পায়ের দারুণ এক ভলিতে স্কোরলাইন ১-১ করেন মেসি।
প্রথমির্ধ সমতায় শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দুদলই অনেক চেষ্টা করে গোলের জন্য। মেসিও বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সুয়ারেস-ফাফাদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মিঠ ছাড়তে হয় মিয়ামিকে।
এ ড্রতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএসের ইন্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানেই রইল মিয়ামি। শীর্ষে থাকা কলম্বাস ক্রুয়ের পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ১৫। মিয়ামি অবশ্য একটা ম্যাচ কম খেলেছে। আর ৭ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ১৪ নম্বরে আছে টরন্টো।
ঘরের মিঠ চেজ স্টেডিয়ামে অবশ্য ম্যাচের পুরো সময়ই দাপট দেখিয়েছে মিয়ামি। ম্যাচের ৬৭ শতাংশ সময় বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি মিয়ামি শট নিয়েছিল ২৩টি, যার ৯টিই ছিল গোলমুখে। অন্যদিকে টরন্টোর ১২ শটের ৩টি ছিল গোলমুখে। এর মধ্যে টরন্টোর দুটি শট পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়।
অন্যদিকে ম্যাচের ২৯ মিনিটে লুইস সুয়ারেসের পাসে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে টরন্টোর জালে বল জড়ান তেলেস্কো সেগোভিয়া। কিন্তু ভেনেজুয়েলার রাইট উইঙ্গারকে পাস দেওয়ার আগে বল রিসিভ করার সময় অফসাইড পজিশনে ছিলেন সুয়ারেস। ফলে বাতিল হয়ে যায় মিয়ামির গোল।
ঠিক ১০ মিনিট পর বক্সের মিথা থেকে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে ঘোল খাইয়ে গোল করেন মেসি। কিন্তু ভিএআর যাচাইয়ে দেখা যায়, বল রিসিভের সময় টরন্টোর ফরাসি ডিফেন্ডার নিক্সেন গোমিসকে ফাউল করেছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। ফলে দ্বিতীয় দফায় বাতিল হয় মিয়ামির গোল।
মিয়ামির টানা আক্রমণের মধ্যেই স্রোতের বিপরীতে প্রথমির্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বক্সের ভেতর তিন ডিফেন্ডারের মধ্য থেকে গোল করে টরন্টোকে এগিয়ে দেন বেরনারদেস্কি। আর যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে সেগোভিয়ার পাস ডান পায়ে রিসিভ করে বাঁ পায়ের ভলিতে মিয়ামিকে সমতায় ফেরান মেসি।
চলতি মৌসুমে এমএলএসে এটি মেসির তৃতীয় গোল। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মিয়ামির জার্সিতে ৪৪ গোল হয়ে গেল মেসির। আর শুধু এমএলএসে ২৯ ম্যাচেই মেসির গোল আর অ্যাসিস্ট হয়ে গেল ৪৪টি, যা মিয়ামির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে ৮৫৬ গোল হয়ে গেল মেসির।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকবার গোলের কাছাকাছি গেলেও জালে আর জড়াতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ফলে এক পয়েন্ট নিয়েই মিঠ ছাড়তে হয় মিয়ামিকে।