আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশের জনসংখ্যা বাড়াতে গলদঘর্ম চীন সরকার। একের পর এক নানা উদ্যোগ নিয়েও জনসংখ্যাকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বাড়াতে পারছে না বেইজিং। এবার জনসংখ্যা বাড়াতে নতুন আইন করল শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জনসংখ্যা বাড়াতে বিয়ে নথিভুক্ত করার পদ্ধতি আরও সহজ করেছে চীন। এতদিন পর্যন্ত পাত্র ও পাত্রীর স্থায়ী ঠিকানাতেই কেবল বিয়ের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যেত। এখন অস্থায়ী ঠিকানাতেও বিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।
আগে কেউ যদি চাকরিসূত্রে বেইজিংয়ে বাস করত কিন্তু তার স্থায়ী ঠিকানা হতো গ্রামে, সে ক্ষেত্রে তাকে গ্রামের গিয়ে বিয়ে নিবন্ধন করতে হতো। এখন অস্থায়ী ঠিকানা অর্থাৎ চাকরিসূত্রে কিংবা অন্য কোনো কারণে অস্থায়ীভাবে যেখাবে বসবাস করছেন, সেখানেই বিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।
চীন সরকার মনে করছে, নতুন এই আইনের ফলে সময়, যাতায়াত খরচ ও অন্যান্য বিড়ম্বনা কমবে। এতে চীনা তরুণ–তরুণীরা বিয়েতে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে।
গত এক দশক ধরেই চীনের জনসংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। এর পেছনে রয়েছে বিয়ের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং শিশু জন্মহার কমে যাওয়া। চীন সরকারের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিয়ের হার কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। শিশু জন্মের হারও ঠেকেছে তলানীতে। এ অবস্থায় জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চীন। তাই বিয়ে ও সন্তান উৎপাদনে নানাভাবে প্রণোদনা দিচ্ছে চীন সরকার।
এক সময় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ‘এক সন্তান নীতি’ কঠোরভাবে অনুশীলন করত চীন। সেই চীন এখন জনসংখ্যা বাড়াতে বিয়ের আইন শিথিল করাসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। এর আগে সন্তান জন্মদানের জন্য আর্থিক অনুদানও চালু করেছে চীন সরকার।