স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী শনিবার সাউথ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। এর ৪ দিন পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে লিওনেল স্কালোনির দল। জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার আগে সোমবার (১৭ মার্চ) শেষ বারের মতো ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি।
মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে দৃষ্টিনন্দন এক গোল করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এ গোলে যেন ব্রাজিল আর উরুগুয়েকে বার্তা দিয়ে রাখলেন মেসি!
শুরুতে ইমানুয়েল লাতের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মেসির গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি। আর শেষদিকে ফ্যাব্রিস পিকোর গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় আদায় করে মাঠ ছাড়ে ফ্লোরিডার ক্লাবটি। এ জয়ে এমএলএসের ৪ রাউন্ড শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে মায়ামি।
মায়ামির জন্য এ ম্যাচটা ছিল প্রতিশোধের। আগের মৌসুমে সাপোর্টার্স শিল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের প্লে-অফে আটলান্টার কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল মায়ামি। মার্সিডিস বেঞ্জ স্টেডিয়ামে এ ম্যাচেও মায়ামির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়েছে আটলান্টা। ম্যাচের প্রথম গোলটাও পেয়েছে রনি দেইলার শিষ্যরা। ম্যাচের ১১তম মিনিটে ব্রুকস লেনোনের ক্রসে দারুণ এক হেডে মায়ামি গোলকিপার রোকো নিওস নোভোকে পরাস্ত করেন লাতে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আটলান্টা।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটের শুরুতে আবারও লেনোনের দূরপাল্লার ক্রসে হেড থেকে মায়ামির জালে বল জড়ান লাতে। তবে গোলের আগে লাতে অফসাইড পজিশনে থাকায় এ যাত্রায় বেঁচে যায় মায়ামি।
তবে ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় নেয়নি হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। একই মিনিটের শেষ দিকে নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা পাস বাড়ান মেসি। সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের ভেতর ক্রস করেছিলেন তাদেও আলেনদে। তবে সুয়ারেস বলের নাগাল পাওয়ার আগেই কিছুটা এগিয়ে এসে বল ঠেকান আটলান্টা গোলকিপার।
ফিরতি বল নিজেদের মধ্যে দেওয়া নেওয়া করছিলেন আটলান্টার ফুটবলাররা। এর মধ্যে দলটির পোলিশ মিডফিল্ডার ব্রাস্তোস স্লিস বল পায়ে নেওয়ার পর পাস দিতে কিছুটা সময় নিচ্ছিলেন। এই সুযোগ মেসি বল কেড়ে নিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় বক্সে ঢুকে পড়েন। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে ঠেকাতে স্লাইডিং ট্যাকল করেছিলেন দেরিক উইলিয়ামস। তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। আটলান্টার আইরিশ ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে এগিয়ে যান মেসি। এরপর এগিয়ে আসা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে দারুণ চিপে বল জালে জড়ান ৩৭ বছর বয়সী এ মহাতারকা।
অনেকদিন চোখে লেগে থাকার মতো মেসির এ গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি। এরপর দুদলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালাতে থাকে। মেসিও কয়েকবার গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর্জেন্টাইন অধিনায়কের বেশ কয়েকটি শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে।
ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে ইয়র্দি আলবার ক্রসে হেড থেকে গোল করে মায়ামির জয় নিশ্চিত করেন পিকো।