লাইফস্টাইল ডেস্ক : সবাই সুখী হতে চায়। যদিও সুখ পরিমাপ করা যায় না, তবে কে সুখী আর কে নন তা যাচাই করতে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের সমীক্ষা ও গবেষণা চালিয়েছেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জরিপ চালিয়ে বিজ্ঞানীরা জানতে পেয়েছেন সুখী ব্যক্তিদের আসলে কীভাবে চেনা যায়।
সুখী মানুষদের লক্ষণ কী?
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যারা খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তারা অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী ও খুশি থাকেন। অন্যদিকে যারা অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমান তারা জীবনে কম সন্তুষ্ট ও বেশি মানসিক অসুস্থতায় ভোগেন। অন্যদিকে যারা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন তারা বিষণ্নতা ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় কম ভোগেন।
প্রচুর ফল ও সবজি খান যারা
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ফল ও সবজি গ্রহণের পরিমাণ ৩-৪ সার্ভিং থেকে ৮ সার্ভিং পর্যন্ত বাড়িয়েছেন তারা আগের চেয়ে আরও বেশি সুখী ছিলো। তাদের সুখী হওয়ার পরিমাণ ছিল নতুন চাকরি খোঁজার সমান।
বোন থাকা
যে পরিবারে বোন আছে সে পরিবারের ভাই-বোনেরা অন্যদের চেয়ে সুখী হন। এর প্রধান কারণ হলো পুরুষের চেয়ে নারীরা অন্য ভাই-বোনেদের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
এছাড়া পরিবারের বড় বোন থাকলে সামাজিক দক্ষতা উন্নত হয় ও পুরুষরা নারীদের সঙ্গে আরও ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারে, এমনকি নারীদের প্রতি কীভাবে সম্মান দেখাতে হয় সেটিও শেখে।
সব কাজে দেরি করা
কাজে দেরি করা কিংবা অফিসে দেরিতে পৌঁছানোর অভ্যাস মোটেও ভালো বিষয় নয়। তবে যারা সব সময় দেরিতে কাজ সারে তারাই নাকি বেশি সুখী ও দীর্ঘজীবী হন।
বিজ্ঞানীদের মতে, যারা দেরি করে কাজ করেন তারা সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বেশি আশাবাদী হন। তাদের মধ্যে কর্মস্পৃহা অনদের চেয়ে বেশি থাকে। এমন ব্যক্তিরা শান্ত প্রকৃতির হন ও ব্যস্ত পরিস্থিতিতে কখনো আতঙ্কিত হন না।
পেশায় মালি যারা
বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন, ফুলের বাগানের মালিরা অন্যান্য সব পেশার মানুষের চেয়ে সবচেয়ে সুখী। এমনকি মর্যাদাপূর্ণ ও ভালো বেতনের চাকরি একই পরিমাণে সুখ প্রদান করে না। উদাহরণস্বরূপ সবচেয়ে কম খুশি কর্মীরা ছিলেন এইচআর ও আইটি কর্মী ও ব্যাংকার।
সূত্র: ব্রাইট সাইড