সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত হেলথ কেয়ার প্রোপ্রভাইডারদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে ৩ মাস ধরে। ফলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। উন্নয়ন খাত থেকে চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর জটিলতায় তাদের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র মতে, উপজেলায় ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৯ জন হেলথ কেয়ার প্রভাইডার কর্মরত আছেন। গত জুলাই মাস থেকে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ আছে।
তাড়াশ উপজেলা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারর সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমান বলেন, উন্নয়ন খাত থেকে চাকুরী রাজস্ব খাতে যেতে স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব কমিটির অনুমোদন প্রযোজন। যা গত ৩ মাসেও হয়নি। এ কারণে আমরা বেতন-ভাতা না পেয়ে আধা পেটে, অনাহারে দিনাতি পাত করছি।
তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নের শোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রভাইডার ফিরোজ জামান জানান, আমরা স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিচ্ছি। বর্তমান সরকার উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ রোগের ঔষধও আমাদের মাধ্যমে জনগনকে দিচ্ছেন। আমরা যেখানে অন্যের হৃদক্রিয়া স্বচল রাখছি, সেখানে ৩ মাস বেতন না পেয়ে আমাদের হৃদ যন্ত্র বন্দের উপক্রম হয়েছে। আমরা বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে নিয়ে অতি কষ্টে আছি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, সমস্যাটি শুধু তাড়াশ উপজেলায় নয়, সারা দেশে। বর্তমান সরকার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের ব্যাপারে আন্তরিক। আশা করি সমস্যাটি দ্রুত মিটে যাবে এবং তারা বেতন-ভাতা পাবেন।