তেতুঁলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি

Print Friendly, PDF & Email

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তীব্র ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের দাপট। জেলার উপর দিয়ে গত ৫ দিন ধরে মৃদু, তীব্র ও মাঝারি শৈতপ্রবাহ বয়ে যাবার পরে রবিবার আবারো শুরু হয়েছে তীব্র শৈতপ্রবাহ। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিকে। রাত থেকে বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা। সকাল থেকে মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।

কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কমে রবিবার সকাল ৯ টায় জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ৫ থেকে ১৯ ডিগ্রীতে ওঠানামা করছে।

তবে সকাল ৯টার পর থেকে সূর্যের দেখা মেলায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু সূর্যের কাঙ্খিত উত্তাপ না থাকায় শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে প্রতিদিন বেলা গড়িয়ে বিকেল হতেই আবারও শুরু হয় শীতের প্রকোপ।

এদিকে শীত মোকাবেলায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। তবে মাঘের এই শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষেরা। শীতের কারণে সময় মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না তারা। ফলে অনেক সময় কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাদের।

বোদা উপজেলার নলেয়াপাড়া এলাকার দিনমজুর তরুণ চন্দ্র রায় বলেন, পঞ্চগড়ায় এত শীত যে কি বলবো আর। শীতের কারণে হাত পা গুলো মনে হচ্ছে কেটে যাচ্ছে। তবুও কাজের সন্ধানে সাইকেল নিয়ে বের হয়েছি।

এদিকে তীব্র শীতে আলু মরিচ সরিষা সহ বড় ধানের বীজতলার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শীত মোকাবেলায় কীটনাশক স্প্রে করছেন কৃষকেরা। সদর উপজেলার মালাদাম এলাকার আলু চাষী আনারুল ইসলাম বলেন শীতে আলুতে গোড়া পচাঁ সহ নানা রোগ ধরেছে। বেশি পরিমাণে কীটনাশক স্প্রে করে ও ঠেকানো যাচ্ছে না পোকামাকড়ের আক্রমণ।

এদিকে তীব্র শৈত প্রবাহের কারণে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সোমবার পর্যন্ত দুই দিনের বন্ধ থাকলেও কিছু মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল মালেক।

এদিকে শীতার্তদের শীত মোকাবেলায় জেলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে জেলা জুড়ে। জেলা প্রশাসক মাহমুদ জহুরুল ইসলাম বলেন এখন পর্যন্ত জেলায় ৩৩ হাজার শীতবস্ত্র ও এক হাজার শুকনো খাবার পাওয়া গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আরও বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে তা সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।