অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ধান-চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সব জেলার ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) দৃশ্যমান অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ‘অভ্যন্তরীণ আমন (ধান ও চাল) সংগ্রহ, বাজার মূল্য ও মজুত কার্যক্রম তদারকি’ শীর্ষক দুই দফার ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ সময় মজুতদার, মিল মালিক, লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী, লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ী—যারাই নিয়ম ভঙ্গ করবে, অভিযানে তাদের কাউকেই ছাড় না দিতে বলা হয়েছে। তবে কোনো গৃহস্থ বাড়িতে অভিযান পরিচালনা না করতেও বলা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে ও খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে দফার এ বৈঠকে আট বিভাগীয় কমিশনার, ৬৪ জেলার ডিসি-এসপিসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছিলেন। এর মধ্যে প্রথম দফার বৈঠকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কর্মকর্তারা ও পরের দফার বৈঠকে রাজশাহী, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কর্মকর্তারা ছিলেন।
বৈঠকে খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে যেন আশপাশের এলাকায় অভিযানের খবর যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনাকালে ডিসি ও এসপি যেন একসঙ্গে যান, সে বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধান-চালের দাম যেন হঠাৎ না বাড়ে, তা নিশ্চিতে জেলা পর্যায়ের মিল মালিকদের নিয়ে ডিসিরা বৈঠক করবেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে যাদের ব্যবসার লাইসেন্স নাই, তাদের বিষয়ে তো ব্যবস্থা নেওয়া হবেই, যাদের লাইসেন্স আছে তারাও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
মিল মালিকরা ইচ্ছেমতো সময়ে ধান বা চাল জমিয়ে রেখে বেশি দামের আশায় থাকবেন, তা আর হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আড়তদারদের ধান কেনা ও চাল বানিয়ে বিক্রির মধ্যে সামঞ্জস্যতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। মিল মালিকরা যেন বেশিদিন ধান বা চাল গুদামে ধরে না রাখে, তাও দেখতে হবে।