পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হচ্ছে না!

Print Friendly, PDF & Email

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন পেছাতে সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ভোটের মাত্র মাস খানেক আগে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সিনেটে এই প্রস্তাব পাস হলো। সিনেটে প্রস্তাব পাস হলেও তা মেনে চলার আইনি কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রস্তাব অনুযায়ী ভোট পেছাতে হবে এমনটাও নয়। এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত আগস্টে সংদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়া হলে নভেম্বরেই সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে জনশুমারি ও সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের কারণে দেখিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ধার্য করে ইসি।

পাকিস্তানের সিনেট ১০০ আসন বিশিষ্ট। তবে শুক্রবার মাত্র ১৪ জন সিনেট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এই সিনেট অধিবেশনেই ভোট পেছাতে প্রস্তাব তোলেন স্বতন্ত্র সদস্য দিলাওয়ার খান। তিনি বলেন, বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে। এ ছাড়া সেখানে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের বিষয়ও আছে।

পাকিস্তান বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে পরিচিালিত হচ্ছে। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন আনোয়ার উল হক কাকার। মূলত দেশে একটি সাধারণ নির্বাচনের আয়োজনের করবে এমনটাই কথা ছিল তার সরকারের।

তবে আনোয়ার সরকারকে নির্বাচন আয়োজনের বাইরেও কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অর্থনীতি সম্পর্তিক বিভিন্ন বিষয়ে তার সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। পাকিস্তানের ইতিহাসে তার সরকারই প্রথমবারের মতো আইন করে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানে নির্বাচিত সরকার না থাকলে দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনীর ক্ষমতা আরও মজবুত হবে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর তিন দশকের বেশি সময় পাকিস্তান শাসন করেছে সেনাবাহিনী। বর্তমানে সরাসরি ক্ষমতায় না থাকলেও নির্বাহী বিভাগের ওপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাদের।