গাজায় ‘বিজয়’ না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে: নেতানিয়াহু

Print Friendly, PDF & Email

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। কোনো কিছুতেই ইসরায়েলকে থামানো যাবে না। গাজায় চলমান যুদ্ধের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে গতকাল বুধবার এক ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকারই সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে থেকেও অত্যন্ত যন্ত্রণাবোধ নিয়ে কথাগুলো বলছি। কোনো কিছুতেই আমাদের থামানো যাবে না। একেবারে শেষ পর্যন্ত, বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা অটল থাকব। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।’

এদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনও অভিন্ন কথা বলেছেন। তার ভাষ্য, আন্তর্জাতিক সমর্থন থাকুক বা না থাকুক, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ চলবে। ওয়াশিংটন সফরকারী এক কূটনীতিককে কোহেন বলেছেন, এ সময়ে যুদ্ধবিরতি হলে, তা সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে উপহার দেওয়ার শামিল হয়ে যাবে। এর মধ্য দিয়ে তারা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে এবং ইসরায়েলের বাসিন্দাদের হুমকি দেবে। কোহেনের মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গত মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পাস হয়। সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৫৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলেও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলো প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। পরে এক বিরল বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড বলেছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নিরাপদ জায়গা কমে যাওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন।

জাতিসংঘে প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও মঙ্গলবার বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ‘নির্বিচার’বোমা হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাতে শুরু করেছে। ওয়াশিংটনে নির্বাচনের তহবিল সংগ্রহের এক অনুষ্ঠানে দাতাদের সামনে দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে এটাই তাঁর সবচেয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া।

বাইডেনের প্রশাসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফরে যাওয়ার কথা। সেখানে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করবেন। নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা কীভাবে শাসন করা হবে, তা নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য আছে।