হৃদরোগীদের সুখবর দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। হার্টের রিংয়ের দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে অধিদপ্তর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২৭টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ৪৪ ধরনের হার্টের রিংয়ের দাম কমিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। রিংপ্রতি ২ থেকে ৫৬ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। সে হিসেবে প্রকারভেদে রিংপ্রতি ৩ থেকে ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমেছে। শনিবার মহান বিজয় দিবসে নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দাবি, জনসাধারণের কথা বিবেচনা করে আগের চেয়ে দাম কমানো হয়েছে। নির্ধারিত এই দামের বেশিতে বিক্রয় করলে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওষুধ ও কসমেটিসক আইন ২০২৩ অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে দেশের ওষুধ ও চিকিৎসা ডিভাইস নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান।
১. সব হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে হার্টের রিংয়ের মূল্য তালিকাটি জনগণের জন্য প্রদর্শন করতে হবে।
২. হার্টের রিং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত না করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. রিংয়ে নাম, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এবং উৎপাদনকারীর নাম উল্লেখপূর্বক পৃথক ক্যাশ মেমো প্রদান করতে হবে।
৪. রোগীকে ব্যবহৃত রিংয়ের প্যাকেট সরবরাহ করতে হবে।
৫. রিংয়ের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ, উৎপাদক দেশ ও মূল্য সংবলিত হতে হবে।
রিংয়ের খুচরা দাম সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার পাঁচশ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার টাকা।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, রিংয়ের দাম আগের চেয়ে দাম কমানো হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম দাবি করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওষুধ ও কসমেটিকস আইনে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে অধিদপ্তর।