স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গাজায় নিরীহ নারী ও শিশুদের প্রতি যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছে একবিংশ শতাব্দীতে এসে সেটা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে৷ গাজায় এমন মানবিক বিপর্যয়েও যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে তাদের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার সক্ষমতা হারিয়েছে৷
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর দপ্তরে প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এসব কথা বলেন তিনি৷
মন্ত্রী বলেন, আমি আশা করবো ফিলিস্তিনিদের এই আর্তনাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সবজায়গায় পৌছাবে৷ এবং অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও ফিলিস্তিনে শান্তিপ্রতিষ্ঠা হবে৷ আমাদের সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন৷
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে৷ তিনি ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের আকুন্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ আমি তাকে জানিয়েছি প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ এসেম্বলিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে বলেছেন৷ বাংলাদেশের পার্লামেন্টের সংসদ নেতা হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ একইসাথে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তার প্রতিবাদ করেছেন তিনি৷ ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের প্রতি আমাদের সমর্থন এবং ইসরায়েলীদের হত্যাযজ্ঞের বিপক্ষে বাংলাদেশের সরকারের অবস্থান আমি তাকে পুনরায় বলেছি৷
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে এ সমস্যা সমাধান হবে৷ আমরা ‘টু স্টেট’ পলিসিকে সমর্থন করি৷ ফিলিস্তানে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান নেই৷
ফিলিস্তানে চলমান সংকট নিরসনে আরব বিশ্বের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হতাশা ব্যক্ত করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের পাশে দাড়িয়েছেন তার জন্য প্রশংসা করেছেন৷ বাংলাদেশ থেকে ফিলিস্তিনের জন্য যে সাহায্য সহযোগিতা পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে তিনি আমাকে বিস্তারিত বলেছেন৷ বাংলাদেশে যারা পড়াশোনা করে ফিলিস্তিন গিয়ে কিভাবে কাজ চালাচ্ছে সেগুলোর ভিডিও তিনি আমাকে দেখিয়েছেন।