প্রথমবার ইলেকশনে, কিছু ভুল-ত্রুটি হতে পারে: সাকিব

Print Friendly, PDF & Email

মাগুরা প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ থেকে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রার্থী ঘোষণার পর গাড়িবহর নিয়ে শোডাউন করায় তাকে তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের নোটিশের জবাব দিতে মাগুরা দায়রা ও জজ আদালতে সশরীরে হাজির হন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের সাকিব বলেন, ‘আমার যা জবাব তা আমি ঠিক জায়গা মতো দিয়েছি। সবকিছু ক্যামেরার সামনে বলা যায় না। আমি যেহেতু প্রথমবার ইলেকশন করছি, তাই স্বাভাবিক ভাবে কিছু ভুল ত্রুটি হতে পারে।’ সাকিব আরো বলেন, ‘আমার অনেক নিয়ম কানুন জানা নেই। আমি এখন থেকে জানার চেষ্টা করব। যা হয়েছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এরপর থেকে সবকিছু জেনেই আমি চলব।’

সাকিব আল হাসান আদালতে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন। তার আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম বলেন, ‘গত ২৯ অক্টোবর সাকিব আল হাসান মাগুরায় গমন করেন। তখন কামারখালী এলাকায় জমা হয় উৎসুক জনতা। সেখানে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না কিংবা দলীয় কাউকে তিনি ডাকেননি। সুতরাং এতে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়নি। আমরা নোটিশের জবাবে এসব উল্লেখ করেছি। ভবিষ্যতে আমরা এসব বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।’

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মাগুরা-১ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার স্বাক্ষরিত নোটিশের জবাব সশরীরে দিতে আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় মাগুরা দায়রা জজ আদালতে হাজির হন সাকিব।

নোটিশের চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি সাকিব আল হাসান, মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে মাগুরা আগমনের সময় পথে কামারখালী এলাকা থেকে শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন; নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন, যা বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।’

এর মাধ্যমে সাকিব ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন’ উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ‘ওই আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা অনুসন্ধান কমিটির দপ্তরে আগামী ১ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’