গাজীপুর প্রতিনিধি : বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বন্ধ থাকা গাজীপুরের প্রায় সব পোশাক কারখানাগুলো সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলে দেয়া হয়েছে। বর্ধিত বেতন নিয়ে অনেকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও চাপা ক্ষোভ নিয়ে সকালে দলে দলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। পুলিশ, কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, নাওজোড়সহ বিভিন্ন এলাকার পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
শ্রমিকরা সড়ক, মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। বিভিন্ন কারখানা, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ ছাড়া দফায় দফায় শ্রমিক পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকজন নিহত হয়। পরে শ্রমিক আন্দোলনের মুখে বিভিন্ন এলাকায় অনেক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
রোববার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা অধিকাংশ কারখানায় খোলার নোটিশ দেয়া হয়। এরপর সোমবার সকালে প্রায় সব পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। আর শ্রমিকরাও কাজে যোগ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন্ধ থাকা গাজীপুরের ২৩টি ছাড়া প্রায় সব কারখানায় খুলে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে কোনাবাড়ী শিল্পাঞ্চলের তুসুকা কারখানা এবং জরুন এলাকার স্ট্যান্ডার গ্রুপের কারখানা বন্ধ রয়েছে। তবে শ্রমিকরা নতুন করে নির্ধারিত ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন মেনে নিয়েছেন কি না তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
অনেক শ্রমিক বলছেন বর্ধিত এই বেতন ও তাদের সংসার চালানো সম্ভব নয়। তারা সেটা মেনে না নিলেও কাজে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা চাচ্ছেন বেতন আরও বাড়ানো হোক।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, শ্রমিক আন্দোলনের মুখে বিভিন্ন পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকালে দুই একটি ছাড়া গাজীপুরের প্রায় সকল কারখানা খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণভাবে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে। সকাল ১১ টা পর্যন্ত কোথাও কোনো শ্রমিক আন্দোলনের খবর পাওয়া যায়নি।