স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সরকার দেশের দারিদ্র্যের চিত্র অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে শিল্পী শাহাবুদ্দিনের একক চিত্র প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শিল্পীদের কারণেই রাজনীতিবিদরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এগিয়ে নেওয়ার শক্তি পেয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর লেখক, কবি, শিল্পীরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রেখেছিল। এ কারণেই রাজনীতিবিদরা গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধে চেতনা এগিয়ে নেওয়ার শক্তি পেয়েছে।’
একাত্তরের পরাজিত শক্তি দেশের বিজয়ের ইতিহাস মুছে দিয়েছিল মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাঁথা কেউ যেন আর বিকৃত করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। শিল্পীদের অবদানের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘শিল্পীকে কখনো দমানো যায় না। শিল্পীর আবেগ যখন বিকশিত হয়, তখন যত বাধাই আসুক না কেন তা বিকশিত হবেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পী শাহাবুদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধাও। মুক্তিযোদ্ধার তুলির আঁচড়ে উঠে আসে আমাদের সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের আত্মত্যাগ, যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল এবং আমরা বিজয় অর্জন করি, সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার তুলির আঁচড়েই যেন কথা বলে। অনেক গল্প, অনেক কথা বলার থেকেও তুলির আঁচড়েই যে ফুটে ওঠা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। যেই ইতিহাস পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর আমাদের সম্পূর্ণ বিকৃত করা হয়েছিল। আমাদের বিজয়ের বার্তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। মূলত পরাজিত শক্তিরাই যেন বসে আছে, দেশ চালাচ্ছে। যার জন্য আমাদের সেই স্বাধীনতার কথা, কবিতা, গান যেভাবে মানুষের মাঝে একটা চেতনার সৃষ্টি করতো, সেটাই হারাতে বসেছিল।
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে শিল্পীর তুলির আঁচড় অনেক শক্তিশালী। শাহাবুদ্দিন আমার ছোটো ভাইয়ের মতো। আমি মনে করি সে সবার মধ্যে অন্যতম, শ্রেষ্ঠ। কারণ সে হৃদয়ে ধারণ করে, সে যে মুক্তিযোদ্ধা ছিল, এখনও সে মুক্তিযোদ্ধাই। সেই চিন্তা-চেতনা নিয়েই তার শিল্পকর্ম। যেটা আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে।