ব্রিটিশ পার্লামেন্টে চীনের গুপ্তচর!

Print Friendly, PDF & Email

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের এক গবেষককে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীন গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ বিভাগ।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, চীনা হস্তক্ষেপের বিষয়ে দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম গুলোর খবরে জানাযায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে টম টুগেনডাট নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই তার সঙ্গে ওই গবেষকের পরিচয় ছিল। তবে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের সম্পর্কের বিষয়ে আর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ওই গবেষকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। জানাগেছে তিনি কিছুদিন চীনে বসবাস করেছিলেন।

পুলিশ জানায়, একই আইনের অধীন গত মার্চ মাসেও আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারা দুই জনই পুরুষ। তার মধ্যে এক জনের বয়স ত্রিশের কোঠায়, তাকে অক্সফোর্ডশায়ার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপরজনকে এডিনবার্গ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তার বয়স ২০ বছর। তাদের বাসায় তল্লাশিও চালানো হয়। গ্রেপ্তার পর উভয় ব্যক্তিকে দক্ষিণ লন্ডনের একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তারা জামিনে মুক্তি পান। খবর বিবিসি, সানডে টাইমস।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিচারসচিব অ্যালেক্স চাক বিবিসিকে বলেন, তিনি নির্দিষ্ট কোনো মামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না। তিনি জানান, চীনের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক গভীর করার সিদ্ধান্ত সঠিক, কিন্তু ঋষি সুনাক সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়াকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।

অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাও নিজ নিজ দেশে চীনা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ গুলো খতিয়ে দেখছে। তবে চীন এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলেও গত কিছু দিন ধরে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ওয়াশিংটন ও লন্ডনের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।