বিলাওয়ালের সংশয়, পিএমএলএনের সমালোচনা

Print Friendly, PDF & Email

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করলেন সদ্য বিদায়ী জোট সরকারের অন্যতম সঙ্গী পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি সংবিধানের অধীনে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে বলেন, এই সময় বৃদ্ধি করার কারণে জোটের মিত্ররা দূরে সরে যাচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।

পাকিস্তানের হায়দরাবাদে একটি পানি শোধনাগার কেন্দ্র উদ্বোধনকালে তিনি পিএমএলএনের অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করেন। কারণ, জনশুমারি সম্পন্ন হওযার পর পার্লামেন্টের আসন বিন্যাস নতুন করে সাজানোর পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে পিএমএলএন এবং নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে সংবিধানের বাইরে চলে যেতে হবে। এ বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না বিলাওয়াল। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি এমন মন্তব্য করলেও এর আগের দিন শনিবার তারই পিতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিলাওয়াল।

আসিফ আলিও পার্লামেন্টের আসনবিন্যাস নতুন করে সম্পন্ন করার পরে নির্বাচনের পক্ষে। তার এই বক্তব্যকে বিলাওয়াল ভুট্টো একান্তই তার পিতার ব্যক্তিগত মত বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, এটা তার দলের সিদ্ধান্ত নয়। তার দলের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।

ওদিকে গত মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার সঙ্গে সাক্ষাত করেন পিএমএলএন নেতারা। তারা কমিশনকে নতুন শুমারি অনুযায়ী নির্বাচন করার অনুরোধ করেন। এখানে উল্লেখ্য, সদ্য বিদায়ী সরকার ছিল পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামের জোটের নেতৃত্বে। এর আবার নেতৃত্বে ছিল পিএমএলএন, পিপিপি।

অনাস্থা ভোটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গত বছর এপ্রিলে তারা ক্ষমতায় আসে। এরপর স্বাভাবিকভাবেই পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ৯ই আগস্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। এর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে।

কিন্তু পিএমএলএন ও নির্বাচন কমিশন চাইছে শুমারি শেষে নির্বাচন। তাতে নির্বাচন হতে পারে ফেব্রুয়ারি বা মার্চে। এর মধ্যেও রাজনীতি খোঁজা হচ্ছে। কারণ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেলে থাকলেও তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা এখন। এখনই নির্বাচন দিলে তার দল চমক সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু দিন যত যাবে, ততই দুর্বল করা সহজ হবে ইমরানকে। তবে এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিলাওয়াল। তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিলম্বিত করার ফলে তাদের জোটসঙ্গীরা দূরে সরে যাচ্ছে।