মা-বাবার পর মারা গেল দগ্ধ শিশু আফসানাও

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় বাবা ও মায়ের পর মারা গেলো ৫ বছরের শিশু আফসানা। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ ঘটনায় দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে মারা গেলেন তিনজন।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ১৩ আগস্ট রাত ২টার দিকে জুরাইন মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোডের মন্নান মাস্টারের চারতলা বাড়ির নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে মারা যান ওই শিশুর মা মুক্তা খাতুন (৩০)। একই দিন বিকেলে মারা যান তার বাবা আতাহার (৩৫)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শিশু আফসানার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শিশু আফসানার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শিশু আফসানার মামা মো. মাহবুব ঘটনার দিন জানান, ওই রাতে তিনি খবর পান, মুক্তার বাবা আলতাফ শিকদারের বাসায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তখন তিনি ওই বাসায় গিয়ে অন্যদের সহযোগিতায় দগ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। বিস্ফোরণে দগ্ধ হন মুক্তা (৩০) তার স্বামী আতাহার (৩৫) এবং মেয়ে আফসানা (৫), মুক্তার বাবা আলতাফ সিকদার (৭০) ও মা মর্জিনা বেগম (৫৫)।

তিনি জানান, ওই বাসায় তিতাসের গ্যাস সংযোগ রয়েছে। তবে সকালে লাইনে গ্যাস থাকে না। সকালে খাওয়ার জন্য মধ্যরাতেই তারা রান্না করে রাখেন। তার ধারণা, বাসার নিচ তলা রাতে গ্যাস লিকেজ হয়ে ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। মধ্য রাতে রান্নার সময় সেখান থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

মুক্তার স্বজনরা জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায়। এক সপ্তাহ আগে মেয়ে মুক্তা খাতুন, তার স্বামী এবং মেয়েকে নিয়ে জুরাইনে বাবার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। বিস্ফোরণে পুরো পরিবারটি দগ্ধ হয়। এতে মুক্তা, তার স্বামী ও মেয়ে মারা গেলেও চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন মুক্তার বাবা আলতাফ সিকদার ও মা মর্জিনা বেগম।