প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সালেহীন ও ইমরানের পামির জয়

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার : পর্বতারোহী সালেহীন আরশাদী ও ইমরান খান গত ১০ আগস্ট পৃথিবীর ছাদ হিসেবে খ্যাত পামির মালভূমির ৬১৫০ মিটার উচ্চতার ‘রাজদালনিয়া’ চূড়ায় সফলভাবে আরোহণ করেছেন। চূড়াটি ট্রান্স আলতাই পর্বতমালার অংশ। উল্লেখ্য, উক্ত অঞ্চলে এটিই প্রথম কোনো বাংলাদেশির অভিযান।

অভিযাত্রীদ্বয়, গত ২ আগস্ট কিরগিজস্থানে অবস্থিত আশিক-তাচ বেসক্যাম্পে পৌঁছান। সেখান থেকে ৪ আগস্ট ক্যাম্প-১ পর্যন্ত ট্রেক করেন। অতি উচ্চতা ও স্থানীয় আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য তারা ৪৭১৭ মিটার উচ্চতার হোম পিক ও ৫১০৬ মিটার উচ্চতার ইউহিন পিক আরোহণ করেন।

ক্যাম্প-১ থেকে ৭ আগস্ট, অভিযাত্রীদ্বয় কোনো গাইডের সাহায্য ছাড়া বিপদসংকুল লেনিন চূড়ার হিমবাহ পাড়ি দিয়ে ৫৩০০ মিটার উচ্চতায় ক্যাম্প-২ স্থাপন করেন। এরপর ৯ আগস্ট তারা ৬১২৩ মিটার উচ্চতায় ক্যাম্প-৩ স্থাপন করেন। অবশেষে, ১০ আগস্ট দুপুর ১:৪৮ মিনিটে তারা ৬১৫০ মিটার উচ্চতার রাজদালনিয়া চূড়ায় আরোহণ করেন। এবারের অভিযানের মূল লক্ষ্য হিসেবে লেনিন চূড়ায় আরোহণের জন্য অভিযাত্রীদ্বয় ছয় হাজার মিটার উচ্চতার ক্যাম্প-৩ এ রাত কাটান। কিন্তু প্রতি রাতেই ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তারা লেনিন পিকের চূড়ায় আরোহণের পরিকল্পনা আগামী সিজনের জন্য মুলতবি রেখে নিরাপদে নিচে নেমে আসেন।

বাংলাদেশের দুই তরুণ পর্বতারোহী, সালেহীন আরশাদী এবং ইমরান খান, মর্যাদাপূর্ণ ‘স্নো লেপার্ড চ্যালেঞ্জ’ সম্পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে পৃথিবীর ছাদ পামিরে ঐতিহাসিক অভিযাত্রা শুরু করেছিলেন। স্নো লেপার্ড চ্যালেঞ্জ হলো পর্বতারোহণের একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা যেখানে পামির ও তিয়েন শান পর্বতশ্রেণির সর্বোচ্চ পাঁচটি চূড়া আরোহণ করতে হয়।

এই অভিযানটির আয়োজনে ছিল, পাহাড়-পর্বত বিষয়ক সংগঠন ‘অদ্রি’। সহযোগিতায় ছিলেন ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ, ক্লাইম্ব অব আর্থ, দ্য কোয়েস্ট, মঈন ফাউন্ডেশন, এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও প্রথম আলো।