আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চাইলে যা মানতে হবে

Print Friendly, PDF & Email
  • কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক

স্টাফ রিপোর্টার : মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দলেরই যেসব নেতা বদনাম ছড়াচ্ছেন, তাদের আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে না। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার না করতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, নেতা-কর্মীদের কাজ হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন ও অপকর্ম তুলে ধরা। কিন্তু তা না করে অনেকে দলের জনপ্রতিনিধিদের নামে বদনাম ছড়ান। যারা এটা করবেন, তাদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে না।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র দলীয় সভাপতির এমন বক্তব্য ও নেতাদের সতর্ক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে কাদা–ছোড়াছুড়ি নিয়ে একাধিকবার কথা বলেছেন। মূলত আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় ঐক্য বাড়ানো এবং বিভেদ কমানোর লক্ষ্যে একই বিষয়ে আবারও কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের সুফল প্রচার করতে বলেছেন।’

এর আগে ৬ আগস্ট গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়েছিল। ওই সভায় দলীয় সভাপতি ঘোষণা দিয়েছিলেন, যারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের ‘ভারমুক্ত’ করা হয়েছে। আর গতকাল দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বিভিন্ন কমিটির ভারপ্রাপ্তদের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শুরু হয় সন্ধ্যা সাতটায়। প্রথমে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর শোক প্রস্তাব পাঠ ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, সাংগঠনিক সম্পাদকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দলের দুঃসময়ে যারা ছিলেন, নতুন কমিটি করার সময় তাদের বাদ দেয়া যাবে না।

বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানায়, সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক সুনামগঞ্জ জেলা শাখার কমিটিতে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ নেতাদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ করেন। এ সময় তার কথার জবাব দেয়ার চেষ্টা করেন আহমদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘উনি (জেবুন্নেছা হক) দুজনের নাম সুপারিশ করেছেন।

এর মধ্যে একজনকে রাখা হচ্ছে। তখন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার (জেবুন্নেছা) দুই বা এক নামের বিষয় না, উনি (জেবুন্নেছা) যেভাবে বলেছেন, ওইভাবে যাতে কমিটি হয়, এখানে দলের ত্যাগী নেতা কেউ বাদ যাচ্ছে কি না, সেটা দেখতে হবে।’