স্টাফ রিপোর্টার : কারও কোনও সমস্যা থাকলে বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও গোয়েন্দা কার্যালয়ে কেন অভিযোগ করা হবে– এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে থানায় যাবে, ডিসির কাছে যাবে, পুলিশ কমিশনার ও আইজিপির কাছে যাবে। গোয়েন্দা কার্যালয়ে কেন? আসলে এ সংস্থাটি জনগণের সঙ্গে তামাশা ও বায়োস্কোপ করছে।’
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বরিশাল বিভাগের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা দেওয়ার প্রতিবাদ এবং বিএনপির সহ-সাংগঠনিক আকন কুদ্দুসের মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
তিনি মনে করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার কারণ ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক। এ সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। সরকার নির্বাচনে বিএনপিকে বাইরে রাখতেই সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুরনো মামলায় সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।’
রিজভী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন পুরোনো বোতলে পুরোনো বিষ। শুধু কভারটি পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনগণকে বোকা ভাবেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব ধারাই সাইবার সিকিউরিটি আইনে বিদ্যমান। এ আইনে মানহানি মামলায় সর্বনিম্ন জরিমানার বিধান করা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের অবাধ দুর্নীতি লুটপাটের কথা যেন জনগণ বলতে না পারে শুধু তা আটকানোর জন্য এই আইন। শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আইসিটি আইন করেছিলেন। ১৮ সালে নির্বাচনের আগে করেছিলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এবার নির্বাচনের আগে সাইবার সিকিউরিটি আইন করলেন। কারণ কী, কারণ একটাই, জনগণের হাত-পা বেঁধে রাখা।’