ইউরোপে পোশাক রপ্তানির পরিমাণে শীর্ষে বাংলাদেশ

Print Friendly, PDF & Email

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : জোটগত প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রপ্তানির পরিমাণে প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। কয়েক দশক ধরে শীর্ষ স্থানটি চীনের দখলে ছিল। ২০২২ পঞ্জিকা বছরে ইইউর ২৭ দেশে ১৩৩ কোটি কেজি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। চীন রপ্তানি করেছে ১৩১ কোটি কেজি পোশাক। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও চীনের দ্বিগুণ।

আগের বছরের চেয়ে গত বছর ইইউ জোটে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ২১ শতাংশ, যা ১২ শতাংশেরও কম চীনের। ইইউর সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যান বলছে, পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনামের অবস্থান পঞ্চম। ইইউতে মাত্র ১৫ কোটি কেজি পোশাক রপ্তানি করে দেশটি। জোটে রপ্তানির পরিমাণে তুরস্ক রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। গত বছর তুরস্কের ৪৭ কোটি কেজি পোশাক গেছে ইইউতে। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভারতের রপ্তানির পরিমাণ ২১ কোটি কেজি।

অবশ্য পরিমাণে চীনকে ছাড়িয়ে গেলেও অর্থমূল্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও চীনের পেছনে। পরিসংখ্যান বলছে, ইইউর দেশগুলোতে গত বছর ৩ হাজার ১৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে চীন। বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ২৮৯ কোটি ডলারের। তবে এ ক্ষেত্রে চীনের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও প্রবৃদ্ধির হিসাবে দ্বিগুণ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। গত বছর অর্থমূল্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৬ শতাংশ, যেখানে চীনের এ হার ১৭ শতাংশ। ইইউতে রপ্তানিতে সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিই সবচেয়ে বেশি।

ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর ইইউতে বাংলাদেশের পোশাকের মূল্য বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। চীনের পোশাকের মূল্য বেড়েছে ৫ শতাংশের কিছু কম। ভিয়েতনামের পোশাকের দর বেড়েছে ৩ শতাংশের মতো। গত বছর ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ৩ শতাংশ হারে পোশাকের দাম বেড়েছে।