লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা নদীর আশপাশের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি সোমবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় তা কমে পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিনে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিন থেকে বৃষ্টিতে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি হতে থাকে। এ কারণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়। ফলে পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা নদীর আশপাশের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদীতে চাষকৃত কৃষি পণ্যগুলোর ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে জেলার ৫টি উপজেলার নদীবেষ্টিত সদর উপজেলার গোকুন্ডা, তিস্তা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, কালীগঞ্জের রুদ্রেশ্বর, শৈলমারী, বৈরাতি হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সানয়াজানসহ নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছে এ এলাকার সাধারণ মানুষ।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আমার এলাকায় প্রায় বেশকিছু পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আমরা কাজ করছি এসব এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য।’
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ‘সোমবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় তা কমে পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বেরিবাঁধ নির্মাণ করেছি। কিছু জায়গায় কাজ চলমান রয়েছে। এ কারণে ওইসব এলাকায় এবারে ভাঙ্গন কম দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও ভাঙ্গনপ্রবণ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।’