বাদ পড়া দুই বিচারপতির আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্টের সাবেক দুই অতিরিক্ত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীকে ওই পদে স্থায়ী নিয়োগ না দেয়ার বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার (১৪ জুন) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।

তবে সাবেক এই দুই অতিরিক্ত বিচারপতি পুনরায় বিচারিক দায়িত্বে ফিরতে পারবেন কিনা তা রায়ে ঘোষণা করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে পর্যবেক্ষণে এ বিষয়ে জানা যাবে। এজন্য রায় প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আবেদনকারীদের আপাতত বিচারিক পদে ফেরার সম্ভাবনা নেই। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

২০১২ সালের ১৩ জুন এ বিএম আলতাফ হোসেনসহ ৬ জনকে দুই বছরের জন্য হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। পরে বিধি অনুযায়ী ২০১৪ সালে তাদের মধ্যে থেকে ৫ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বাদ দেওয়া হয় এবিএম আলতাফ হোসেনকে। এরপর ২০১৪ সালে আলতাফ হোসেনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান এবং এবিএম আলতাফ হোসেন হাইকোর্টে পৃথক রিট দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ওই দুটি রিট আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এবিএম আলতাফ হোসেন। বুধবার ওই আবেদনের শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

অন্যদিকে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জনকে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। পরে তাদের মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী মারা যান। এ অবস্থায় ২০১৭ সালে অপর ৯ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পাঠান তৎকালীন প্রধান বিচারপতি। তবে তাদের মধ্যে বিচারপতি শিবলীকে বাদ দিয়ে বাকি আটজনকে ওই বছরই স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তখন বাদপড়া বিচারপতি শিবলী স্থায়ী নিয়োগ পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন। এরপর হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিচারপতি শিবলী।