স্পোর্টস ডেস্ক : মৌসুমের শেষে পিএসজি ছেড়েছেন লিওনেল মেসি। ক্লাবটিতে খুব একটা সুখী হতে পারেননি তিনি। তাই বৃদ্ধি করতে চাননি চুক্তির মেয়াদ। এবার বোমা ফাটানো খবর দিলেন ক্লাবটির আরেক তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। মেসির মতো তিনিও বৃদ্ধি করতে চান না চুক্তির মেয়াদ। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে পিএসজিকে জানিয়ে দিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী।
চুক্তি অনুযায়ী, এমবাপ্পের পিএসজিতে থাকার কথা ২০২৪ পর্যন্ত। কিন্তু এমবাপ্পের মতো তারকাকে ফ্রিতে ছাড়তে নারাজ ফরাসি ক্লাবটি। তাই দলবদলের এই মৌসুমেই তাকে চড়া দামে বিক্রি করে দিতে চায় তারা। এমনটাই জানিয়েছেন ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো।
এমবাপ্পের ক্লাব ছাড়ার খবরের পর নিশ্চয়ই আগ্রহী হতে শুরু করবে ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল ও চেলসিসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব এমবাপ্পেকে ভেড়াতে আগে থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সবার আগ্রহ জুড়ে থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ ক্লাবটি যে এমবাপ্পের হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে সে কথা কে না জানে।
গত বছর দুইয়ে দুইয়ে চার মিলেই গিয়েছিল প্রায়। কিন্তু রিয়ালকে স্তম্ভিত করে পিএসজির সঙ্গে দুই মৌসুমের জন্য চুক্তি বাড়ান এমবাপ্পে। শুধু তা-ই নয়, পিএসজির সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত তাকে অনুরোধ করেন। সেই চুক্তি অনুযায়ী অবিশ্বাস্য সব বেতন-বোনাস পাচ্ছেন এমবাপ্পে। এমনকি ক্লাবের যেকোনো সিদ্ধান্তে তার মতামতকে প্রাধান্যও দেওয়া হয়। কিন্তু এখন এমবাপ্পে নিজেই ক্লাব ছাড়তে রাজি।
অন্যদিকে করিম বেনজেমা চলে যাওয়ায় রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড লাইন-আপে শূন্যতা দেখা দিয়েছে। সেই ঘাটতি হয়তো এমবাপ্পেকে দিয়ে পূরণ করতে চাইবে তারা। তবে এবারের দলবদলের শুরুতেই ১০৩ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে জুড বেলিংহ্যামকে কিনেছে ক্লাবটি। এমবাপ্পের পেছনে এর চেয়ে বেশি অর্থও খরচ হতে পারে। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপের মতে, এমবাপ্পের জন্য ১৫০ কোটি ইউরো রিলিজ ক্লজ চায় পিএসজি।
এদিকে কিছুদিন আগে রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বলেন, ‘এমবাপ্পেকে আমরা কিনতে চাই, তবে এই বছর নয়। ’ কিন্তু তখনো পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি না করার ঘোষণা দেননি। সেই ঘোষণা শোনার পর হয়তো পেরেজ তার মত বদলাতেও পারেন।
পিএসজির হয়ে এমবাপ্পে সবকিছুই জিতেছেন শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়ন লিগ। ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পেতে ব্যাকুল হয়ে আছেন তিনি। কিন্তু আগামী মৌসুমে আগের তুলনায় অনেকটা দুর্বল দলই গড়তে যাচ্ছে পিএসজি। মেসি চলে যাওয়ার পর নেইমারেরও ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন উঠেছে। তেমনটা সত্যি হলে চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুমে ফেভারিটের তালিকায় হয়তো থাকবে না তারা।