আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে দেশটির ভাড়াটে সৈন্যবাহিনী ‘ওয়াগনার’। তবে এ গ্রুপটির সঙ্গে কয়েক মাস ধরে কন্দোল চলে আসছে রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের। সে কোন্দল মেটাতে এবার সরাসরি সরাসরি ওয়াগনার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নিতে চলেছে ক্রেমলিন। রোববার (১১ জুন) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি বলছে, শনিবার (১০ জুন) রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিকোলাই প্যানকভ বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবী দলটিকে’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি সই করতে বলা হবে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর শনিবারের ঘোষণায় স্পষ্ট করে ওয়াগনার বা অন্য কোনো আধাসামরিক বাহিনীর কথা না বলা হলেও রুশ গণমাধ্যমগুলো মনে করছে, নতুন এ চুক্তি প্রিগোজিন ও তার সেনাদলকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসারই পদক্ষেপ।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীর কার্যকারিতা বাড়াতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ও চুক্তি সই হতে হবে ১ জুলাইয়ের মধ্যে। তবে নিজেদের প্রতি প্রত্যক্ষ ইঙ্গিত দেওয়া না হলেও, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি সই করবেন না বলে জানিয়েছেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।
রোববার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে প্রিগোজিন স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, তার বাহিনী রুশ প্রতিরক্ষার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবে না। এমনকি প্রয়োজনে সব চুক্তি বয়কট করবে।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেইন যুদ্ধে ওয়াগনার বাহিনী রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াইয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে ওয়াগনার প্রধানের সঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সামরিক প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের প্রকাশ্য বিরোধ চলছে।
ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বারবার শোইগু ও গেরাসিমভের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধে ওয়াগনার বাহিনীকে কম অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ করে আসছেন তিনি।
শনিবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ার প্রিগোজিন বলেছেন, বর্তমান রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ওয়াগনার কোনো চুক্তি সই করবে না। তিনি নিজের সামরিক বাহিনীকেই ঠিকমতো চালাতে পারেন না।
প্রিগোজিন আরও বলেন, আমার সেনারা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অত্যন্ত সমন্বিতভাবে কাজ করছে। কিন্তু রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে আমাদের পরিকল্পনা কিংবা কর্মকাণ্ড নিয়ে রিপোর্ট করতে হলে ওয়াগনারের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সূত্র: বিবিসি