তিন বছরেই বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি ‘নগদ’

Print Friendly, PDF & Email
  • আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ মাত্র তিন বছরে বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘বেক্সিমকো গ্রুপের বিলিয়ন ডলার কোম্পানি হতে সময় লেগেছিল ৪০ বছর। আর বিকাশের লেগেছে ১২ বছরে; নগদের লেগেছে তিন বছর।’

শুক্রবার (৯ জুন) জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (জেসিআই) এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে পলক এক কথা বলেন। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় দুই দিনের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ও এক্সপো’ বসেছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আরও অন্তত পাঁচটি ইউনিকর্ন (বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ) বেরিয়ে আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছেন যে, এখানে মেধাবী, সাহসী ও সমস্যার সমাধানকারী উদ্যোক্তারা ব্যবসা করতে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে নেতৃত্ব দান করা সম্ভব। তার বড় উদাহরণ নগদ। তারা যাত্রা শুরু করার মাত্র তিন বছরে বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।’

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি নগদ জানিয়েছে, নগদের এই দ্রুত সাফল্য পাওয়ার পেছনে কাজ করেছে তাদের কিছু প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন। অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ই-কেওয়াইসি’র পাশাপাশি কয়েকটি বাটন চেপে অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করেছে নগদ। এতে সয়ংক্রিয়ভাবে ডাটাবেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। ই-কেওয়াইসি প্রচলনে নগদের উদ্ভাবনের কারণেই বাংলাদেশের আর্থিক সেবা খাতে বড় অগ্রগতি এসেছে। দেশের প্রায় সবগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানই এখন এই ই-কেওয়াইসি পদ্ধতি গ্রহণ করেছে এবং তাদের অপারেশনাল খরচ অনেক কমিয়েছে। ফলে অ্যাকাউন্ট খুলতে এখন আর কাগজের ব্যবহার হয় না। অ্যাপ দিয়েই ব্যাংক থেকে শুরু করে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট খোলা যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশকে ক্যাশলেস করার পথে এটা অনেক বড় একটা পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে।

যাত্রা শুরু করার চার বছরের মধ্যে এসব প্রযুক্তির কারণে নগদ সাড়ে ৭ কোটি গ্রাহকের পরিবারে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এখন তাদের দৈনিক গড় লেনদেন ১২শ কোটি টাকারও বেশি। যে কোনও মোবাইল ফোন থেকে *১৬৭# ডায়াল করে সহজে আর্থিক অ্যাকাউন্ট খোলার যে উদ্ভাবন তার জন্যে ২০২০ সালে ‘উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ পেয়েছে নগদ।