ট্যাক্স রিটার্নের নামে ন্যূনতম কর ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা বৈষম্যমূলক

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার : ট্যাক্স রিটার্নের নামে নূন্যতম কর ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা বৈষম্যমূলক। নৈতিকভাবে এটা ঠিক হয়নি। এটি তুলে দেয়া উচিত। শুক্রবার (২ জুন) সকালে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বাজেট পরবর্তী পর্যালোচনায় এমন মন্তব্য করেন। তবে, করের সীমারেখা তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ করাটাকে ভালো দিক বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, বার্ষিক উন্নয়ন ও বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা যে চমক দেখানো হয়েছে তা উচ্চাভিলাষী, বাস্তবসম্মত নয়। ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, আমরা যদি বৈদেশিক আয়ের দিকে তাকায় তাহলে দেখব রেমিট্যান্স নিম্নমুখী। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কিন্তু নিম্নমুখী। বৈদ্যুতিক এবং জ্বালানি খাতে ব্যাপক একটা ঘাটতি দেখা গেছে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

গত দুই অর্থবছরের উন্নয়নের যে সূচক দেখানো হয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। নতুন অর্থবছর ২০২৩-২০২৪ এ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। গত অর্থবছরেও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছিল। পরে এটাকে নামিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে।

আমরা যদি সরকারি বিনিয়োগের হার দেখি সেটা ৬ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছে। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির অংশ হিসেবে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ ২০২৪ সালের জন্য ধরা হয়েছে। কিন্তু আসলে ২০২৩ সালে আমরা দেখেছি যেটা ধরা হয়েছিলো, সেটা কম হয়েছে এখন পর্যন্ত, এবং সেটা ২১ দশমিক ৮ শতাংশ। এখান থেকে লাফ দিয়ে ২৭ শতাংশ কিভাবে হবে? সেটা আমাদের কাছে মনে হচ্ছে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষা।

মুদ্রা খাত ও মূল্যস্ফীতির ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যক্তি খাতে ঋণ প্রবাহ ১৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। এই বছরের ঋণ প্রবাহ যেটা ধরা হয়েছে সেটা গত বছরের ধরা ঋণ প্রবাহের সঙ্গে মিলছে না। এছাড়া ব্যক্তি খাতের যে বিনিয়োগের হার ধরা হয়েছে সেটা এমন ঋণ প্রবাহ দিয়ে কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তা আমাদের বোধগম্য নয়।

নতুন অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বলা হয়েছে ব্যাপকভাবে মূল্যস্ফীতি কমে গিয়ে সেটা ৬ শতাংশ হবে। এই মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন আমাদের কাছে উচ্চাকাঙ্ক্ষা মনে হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায় আমদানি প্রবৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের যে পারফরম্যান্স ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেখা গেছে তার থেকে আরও বেশি হবে বলে নতুন অর্থ বছরের বাজেটে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ না বাড়লেও অনুন্নয়ন খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বেড়েছে। আমরা তো উন্নয়ন চায়। অনুন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ালে সেটি খুব একটা কাজে লাগে না।