স্টাফ রিপোর্টার : চলতি সপ্তাহ থেকে ফাইজারের টিকা তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে ফাইজার তৃতীয়-চতুর্থ (বুস্টার) ডোজ ব্যবহার নিয়ে সোমবার (২৯ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ফাইজার থেকে ৩০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছি। তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ তথা বুস্টার ডোজ হিসেবে দেব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং দেশিয় প্রতিষ্ঠানের এই টিকার অনুমোদন রয়েছে। ট্রায়ালের কাজ শেষ করেছি। কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।
তিনি জানান, যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি তারা তৃতীয় ডোজ তারা পাবে। আর ক্রনিক রোগী যারা তারা, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই, গর্ভবতী মায়েদের এবং সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া হবে।
টিকা নিয়ে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, টিকা নিয়েছে বলে করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করছে না। আমাদের মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, করোনা যেকোনো সময় বাড়তে পারে বলে- সে ধরণের আশঙ্কা আমরা পাচ্ছি না। টিকাদান চলমান রয়েছে। কিন্তু টিকা নেওয়ার সংখ্যা কম। কারণ, আক্রান্তের সংখ্যা কম এবং মৃত্যুও নেই।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, আমরা প্রায় ৩৬ কোটির বেশি টিকা দিতে পেরেছি। প্রথম ডোজ ৮৮ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৮২ শতাংশ এবং তৃতীয় ডোজ ৪০ শতাংশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অবস্থা বেশ ভালো। গড়ে ৮৫-৯০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছি। বিশ্বে এই হার ৭২ শতাংশ। সারা বিশ্বে যত টিকা তার ১১ শতাংশ আমরা পেয়েছি। এটা আমাদের অর্জন। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।