কেন্দ্র যাওয়ার পথে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

Print Friendly, PDF & Email

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় বৃদ্ধ পথচারীকে পাশ কাটাতে গিয়ে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাবিবুর রহমান (১৮) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন শামিম ইসলাম মীম নামে অপর এক পরীক্ষার্থী।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মীরগড়-ফকিরের হাট সড়কের যতনপুকুরী লিচুতলা এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাকিবুল ইসলাম হাবিবুরকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে আহত শামিম সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নিহত হাবিবুরের বাড়ি উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মীরগড় পশ্চিম পাড়া এলাকায়। সে ওই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। অপর পরীক্ষার্থী শামিম একই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে। তারা দুজনই মীরগড় ময়নউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে এসএসসি পরীক্ষার্থী হাবিবুর ও তার বন্ধু মীম বাসা থেকে বের হয়ে পঞ্চগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কৃষি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে মোটরসাইকেল যোগে আসছিলেন। এসময় তারা উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মীরগড়-ফকিরের হাট সড়কের যতনপুকুরী লিচুতলা এলাকায় আসলে এক পথচারীকে পাশ কাটাতে গিয়ে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ছিটকে পড়েন। এসময় হাবিবুর মাথা ও বুকে গুরুতর আঘাত পান। তবে শামিম হাতে ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসাপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাবিবুরকে মৃত ঘোষণা করেন।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাকিবুল ইসলাম বলেন, হাবিবুর মাথার বাম অংশে ও বুকে গুরুতর আঘাত পেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে শামিম নামে অপরজন শঙ্কামুক্ত। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ চন্দ্র রায় সড়ক দূর্ঘটনায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহের সুরতহাল শেষে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থাকায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।