স্টাফ রিপোর্টার : গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে সরকার এখন বন্দুকের ভাষা ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে নিষ্ঠুরতা, নিপীড়ন ও সহিংস আক্রমণে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ গণতান্ত্রিক অধিকার এখন ক্ষতবিক্ষত। গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে সরকার এখন বন্দুকের ভাষা ব্যবহার করছে। জনপদের পর জনপদ বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত, নিহত, আহত এবং পঙ্গুত্ব বরণ করছে।’
শনিবার (২০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার (১৯ মে) খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত ‘খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশ চলাকালীন সময়ে পুলিশ অতর্কিত হামলা এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষণে’র ঘটনার নিন্দা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিপীড়িত মানুষ ও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না ভেবেই সরকার এখন শান্তিপূর্ণ যেকোনো কর্মসূচিতেই দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বর্বরোচিত আক্রমণ চালাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে ক্ষমতাসীনরা মহাসমারোহে বিপুল দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ-বিত্তের মালিক হয়ে আরাম-আয়েশের যে স্বর্গ রচনা করেছে সেটি যেন হাতছাড়া না হয়, সে জন্য অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিহ্ন করেছে।’
মানুষের ভোটাধিকারকে হরণ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে অদৃশ্য করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ জ্বালানি তেলের দাম কোনো কারণ ছাড়াই বারবার বৃদ্ধি করার কারণে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সকল গণতন্ত্রমনা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একযোগে রাস্তায় নামতে হবে।’
খুলনা মহানগর ও নেত্রকোনায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য ফারুক হিলটন, কে এম হুমায়ন কবির, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, খুলনা মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সজীব তালুকদার ও ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান রিপনসহ শতাধিক নেতাকর্মী। জেলার ২২ নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিফ মিলন, রাসেল, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা মো. শহিদুল মোল্লা ও মো. সেকেন্দার শেখসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।