বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মানুষ তাদের বিবাহকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজন করেন। কেউ কেউ স্বতন্ত্রভাবে চিন্তাভাবনা করেন যাতে বিশেষ দিনটি চিরকাল স্মৃতিতে থেকে যায়। যেমন কেউ বিদেশের মাটিতে বিয়ে করেন, কেউ আবার থিম নির্ভর বিয়ে করেন। এখন পৃথিবীর পরিবর্তে দম্পতিরা মহাকাশকে বেছে নিচ্ছেন বিয়ের ভেনু হিসেবে। স্পেস পারসপেক্টিভ নামে পরিচিত এই ব্যবসাটি এখন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।
চার হাত এক করতে কার্বন-নিরপেক্ষ বেলুনে চড়িয়ে দম্পতিদের কক্ষপথে পাঠানো হবে। স্পেসক্র্যাফটিতে অনেক গুলি জানলা থাকে। যাতে বিয়ের বিশেষ মুহূর্তের সময় দম্পতিরা নীল গ্রহের সর্বোত্তম দৃশ্য দেখার সুযোগ পেতে পারেন। স্পেস পারস্পেকটিভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেন পয়ন্টার দাবি করেছেন মহাকাশের বুকে এই অভিজাত বিবাহ সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই অনেক দম্পতি নিজেদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। সময়ের সাথে সাথে তালিকাটা বেশ দীর্ঘ হচ্ছে। পয়ন্টার নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, অনেকেই মহাকাশের বুকে বিবাহ সম্পন্নকারী প্রথম দম্পতি হতে চাইছেন। আমরা দেখবো কার ভাগ্যে শিঁকে ছেড়ে।’
মহাকাশে বিয়ে করতে হলে কি করতে হবে?
সংস্থাটি দাবি করেছে যে তাদের নেপচুন মহাকাশযানটি বুক করা বেশ সহজ। নবদম্পতিদের খুব বেশি ঝামেলা পোহাতে হবে না। যে পৃথিবীর বুকে একটি বিমানে চড়তে পারে সে নেপচুনে ১২ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিতে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হবে। স্পেসশিপ নেপচুনটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয় স্পেসবেলুন মারফত। কার্বনের পরিবর্তে এটি হাইড্রোজেন দ্বারা চালিত। নেপচুন ক্যাপসুলগুলি সেই বেলুনগুলির দ্বারা বহন করা হয়, যা থেকে দম্পতিরা মহাকাশের বুকে পৃথিবীকে প্রত্যক্ষ করতে পারেন।
পয়ন্টারের মতে, স্পেসবেলুনের সাথে সংযুক্ত নেপচুন অন্যান্য মহাকাশ ভ্রমণের থেকে আলাদা অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। উপরন্তু, এটিতে বিশাল জানলা রয়েছে, যার দ্বারা বিবাহের ফটোগুলি আরো সুন্দর, আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। ওয়েবসাইট অনুসারে, মহাকাশযানটি যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। NASA -এর সদস্যরা ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তিকে অনুমোদন করেছে। সংস্থার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ভিনসেন্ট ব্যাচেটের মতে, নেপচুনের জানালা মহাকাশে বহন করা সবচেয়ে বড় জানালা।
এতে হাইপার-রেসিস্ট্যান্ট মেটিরিয়াল এবং অনন্য অতি বেগুনি রশ্মি প্রতিরোধকারী সুরক্ষা রয়েছে। স্পেস পার্সপেক্টিভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সহ-সিইও টাবার ম্যাককালাম বলেছেন যে, তাঁদের ‘নেপচুন’ বিবাহের জন্য একটি আদর্শ জায়গা হতে চলেছে। দুই জন প্রাক্তন বায়োস্ফিয়ার টু -এর ক্রু সদস্য ‘স্পেস পারস্পেকটিভ’ এর ধারণাটি তুলে ধরেন। বায়োস্ফিয়ার টু -হল অ্যারিজোনার একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র যা ‘পৃথিবী বিজ্ঞান’ নিয়ে কাজ করে।