স্টাফ রিপোর্টার : একুশে পদক পাওয়া বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন কুমিল্লার একজন অর্থদাতা। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার বরাবরে মঙ্গলবার (১৬ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই দাতার পক্ষে নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হায়দার তানভীরুজ্জামান।
ফাউন্ডেশনকে দেয়া এই দাতার অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে তার হিসাব ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলেছেন তিনি। অন্যথায় তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
নোটিশের ভাষ্য মতে, সামাজিক কাজে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে এই দাতা ফাউন্ডেশনকে ব্যাংক এবং বিকাশের মাধ্যমে তিন ধাপে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা দেন। কিছুদিন যাবৎ গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে টাকার সঠিক ব্যবহার না করার অভিযোগ এসেছে।
নোটিশে বলা হয়, অডিট রিপোর্টে সব ব্যয়ের খাত স্পষ্ট রাখা হলে এই দাতা অডিট রিপোর্ট চেক করে তার দেওয়া অর্থের তথ্য পাননি। এছাড়া এ বিষয়ে বার বার জানতে চাইলেও ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
তাই এই দাতার দেয়া অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। অন্যথায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। ‘এক টাকায় আহার’ প্রকল্পের আওতায় হাজারো সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে পরিচিতি পাওয়া বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৩ সালে।
গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর পুড়ে যাওয়া কাপড়গুলো ব্যবহার উপযোগী করার পর অভিনেতা–অভিনেত্রীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের জনপ্রিয় ব্যক্তিদের কাছে তা বিক্রি করে তারা। যে কাপড় বাঁচানো সম্ভব হয়েছে, তা দিয়ে শিশুদের পোশাক, গয়নাসহ নানা পণ্য বানিয়ে তা বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। তখন সংগঠনটির ফেসবুক পেজে একটি কোলাজ ছবি আপলোডের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে কিশোর কুমারের বক্তব্য হলো- এক নারী উদ্যোক্তার বানানো কিছু গয়নার ছবি দেখেই ওই সব গয়না বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে বিদ্যানন্দের ফেসবুক পেজে কোলাজ ছবি প্রকাশের সময় ওই নারী উদ্যোক্তার বানানো কয়েকটি গয়নার ছবিও প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে পরে পেজ থেকে তা সরিয়ে ফেলা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। তবে এরপরও সমালোচনা চলছে।