যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, পর্তুগালের সাথে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী

Print Friendly, PDF & Email

স্টাফ রিপোর্টার : স্টকহোমে দ্বিতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে যোগ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (১৩ মে) স্টকহোমে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ ফোরামের সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং পাশাপাশি বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহাবিব (Hadja Lahabib), যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমদ (Lord Ahmad) এবং পর্তুগালের সেক্রেটারি অভ স্টেট ফ্রান্সিসকো আন্দ্রের (Francisco Andre) সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম

যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখবে এবং দেশটি রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সক্রিয় থাকবে।

বৈঠকে তারা জলবায়ুু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করেন।যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী এ সময় রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলার ঐতিহাসিক অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহাবিবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয় এবং বেলজিয়ামের মন্ত্রী এ বিষয়ে আন্তরিক সহায়তার মনোভাব জানান।দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপরও জোর দেন তারা।

আগামী বছর ঢাকায় কনসুল্যার মিশন খুলতে পারে পর্তুগাল

পর্তুগালের সেক্রেটারি অভ স্টেট ফ্রান্সিসকো আন্দ্রে বৈঠকে মন্ত্রী হাছান মাহমুদকে জানান, পর্তুগাল সরকার আগামী বছরের মধ্যে ঢাকায় একটি কনস্যুলার মিশন খোলার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। এতে করে বাংলাদেশিদের পর্তুগাল ভ্রমণ সহজ হবে। তথ্যমন্ত্রী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

ফ্রান্সিসকো আন্দ্রে পর্তুগালে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশিদের উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মকান্ড এবং পরিশ্রমী মনোভাবের প্রশংসা করে বলেন, পর্তুগিজ সমাজের সাথে মিলেমিশে তারা অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে।