মিয়ানমারে তাণ্ডব চালাচ্ছে মোখা, বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা

Print Friendly, PDF & Email

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিত্তওয়ে উপকূলে আঘাত হেনেছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। স্থানীয় সময় রবিবার দুপুর ১টা ৩০-এর দিকে উপকূলে উঠে আসে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি। মিয়ানমারের আবাহওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার।

মোখার প্রভাবে শহরের কয়েকটি মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গার বিদ্যুৎ খুঁটি ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, হালকা ভবনগুলো ভবনগুলো ঝড়ের তাণ্ডবে কেঁপে উঠছে।

মিয়ানমার নাও-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে, ঝোড়ো বাতাসে গাছ-পালাসহ হালকা ঘর-বাড়ি উড়ে যেতে দেখা গেছে। ইতোমধ্যে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাখাইনের কয়েকটি শহরে। পানি বাড়তে থাকায় ভূমিধস ও বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তীব্র ঘূর্ণিঝড় সকাল সাড়ে ১১টায় সিত্তওয়ের প্রায় ৮০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংডুর ৮৫ মাইল দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং রাখাইনের কিয়াকফিউ থেকে ১০০ মাইল পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারী রামানাথন বালাকৃষ্ণান জানান, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলোকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

রাখাইনের উপকূলীয় শহর সিত্তওয়েসহ কয়েকটি শহরে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া বিভাগ। এরই মধ্যে মিয়ানমার উপকূলের কয়েক লাখ বাসিন্দা বাড়ি-ঘর ছেড়েছেন। আতঙ্কে সময় কাটছে তাদের। রাখাইন রাজ্যের সিত্তওয়ে, কিয়াউকফিউ, মংডু, রাথেডাং, মাইবোন, পাউকতাও এবং মুনাং শহরগুলোতে দুর্যোগ সতর্কতা জারি করেছে বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার। উপকূলবর্তী শহরগুলোর কাছ দিয়ে মোখা তাণ্ডব চালাবে, এমন আভাস দিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে জান্তা সরকার।

সূত্র: মিনারমার নাও, ইরাবতী