আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারকে ‘বৈধ’ বলে রায় দিয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে থেকে মঙ্গলবার পাকিস্তানি রেঞ্জারদের (আধাসামরিক বাহিনী) হাতে দ্বারা গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ রায় আসে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রধান ইমারান লাহোর থেকে ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদে এসেছিলেন। রেঞ্জাররা কাঁচের জানালা ভেঙে আইনজীবী এবং ইমরানের নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর করার পরে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের ৭০ বছর বয়সী চেয়ারম্যানের গ্রেফতারের একদিন আগে ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করার অভিযোগ আনে।
আইএইচসি বিভিন্ন কর্মকর্তাকে তলব করে গ্রেফতারের বৈধতা এবং আদালতের ভেতর উপস্থিত কাউকে গ্রেফতার করা বৈধ কি না, তা নিয়ে যুক্তি শুনেছে।‘’
মামলার শুনানি শেষে আইএইচসি’র প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক রায় সংরক্ষণ করেন এবং দিনের পরের অংশে রায় ঘোষণা করেন।
সেনা সদর দফতরে ইমরান সমর্থকদের ঝড়
ইমরান খানের গ্রেফতারের পর তার সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদর দফতর এবং লাহোর কর্পস কমান্ডারের বাড়িতে ঢুকে পড়ে।
প্রতিবাদী জনতার মধ্যে কয়েকজনকে কর্পস কমান্ডারদের বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা কর্মীদের বলতে শোনা যায়, ‘কাহা থা ইমরান খান কো না চেদনা’ (সতর্ক করেছিলাম, ইমরান খানকে হয়রানি করবেন না)।
গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান বেশ কয়েকটি মামলার আসামি হয়েছেন। তিনি এসব মামলাকে ক্ষমতাসীন জোটের রাজনৈতিক প্রহসন উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বর্তমানে সন্ত্রাস, ধর্ম অবমাননা, খুন, সহিংসতা এবং সহিংসতার পৃষ্ঠপোষক সম্পর্কিত ১৪০টিরও বেশি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমরান খান।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে