স্টাফ রিপোর্টার : মে দিবস উপলক্ষে সোমবার (১ মে) সরকারি ছুটি ছিল। রাজধানীতে যানবাহন চলাচল ছিল একেবারে কম। আবার কলকারখানাও ছিল বন্ধ। আর গতকাল ঢাকার বায়ুর মান ছিল অপেক্ষাকৃত ভালো। কিন্তু এক দিনের ব্যবধানে ঢাকার বায়ু হয়ে উঠেছে অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে গতকাল সোমবার ঢাকার অবস্থান ছিল ১৯তম। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) গতকাল বেলা ১১টায় ঢাকার স্কোর ৮২। আর আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। আর একিউআই স্কোর ১৬৬। এ বায়ু অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
আজ বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির স্কোর ১৭১। তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৫৩। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে ভিয়েতনামের হ্যানয় ও চীনের উহান। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৩৩ ও ১৩২।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়।
একিউআই ইনডেক্সে স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে তা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
একিউআই ইনডেক্সে স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ‘ভালো’ মানের বায়ুর ক্ষেত্রে স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হয়ে থাকে।
ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছেন নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।
নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি—বছরের এই চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ।