ইতিহাস গড়ে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গী নেপাল

Print Friendly, PDF & Email

স্পোর্টস ডেস্ক : স্পিন বোলিং পিচে অবশ্য খুব বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি আরব আমিরাত। ললিত রাজবানশির বোলিং নৈপুণ্যে অল্পতেই গুটিয়ে যায় দলটি। রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে লড়াই করেছেন গুলসান জা। তার পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের পাশাপাশি ভিম শারকির ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ নিশ্চিত করে নেপাল।

প্রিমিয়ার কাপ ফাইনালে আরব আমিরাতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে নেপাল। এই জয়ে সেপ্টেম্বরে হতে যাওয়া এশিয়া কাপের গ্রুপ ‘এ’ তে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই করবে দলটি। একইসঙ্গে প্রিমিয়ার কাপ টেবিলের শীর্ষ তিন দলে যায়গা করে নেওয়ায় জুলাইয়ে হতে যাওয়া এসিসি ইমার্জিং এশিয়া কাপেও সরাসরি অংশগ্রহণ করবে তারা।

মঙ্গলবার কীর্তিপুরের ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৩.১ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান সংগ্রহ করে আরব আমিরাত। জবাব দিতে নেমে ১১৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে নেপাল।

ব্যাটিংয়ে একদমই সুবিধে করতে পারেনি আরব আমিরাত। দলটির একজন বাদে কেউই পার করতে পারেনি ১৫ রানের বেশি। তাদের মধ্যে ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ ওয়াসিম ১১ ও আরয়ান লাকরা করেন ১৩ রান। মাঝে বাসিল হামিদ ও শেষদিকে জুনাইদ সিদ্দিকী করেন সমান ১০ রান। এদিন একাই লড়েন আসিফ খান। তবে ফিফটি স্পর্শ করা হয়নি তার।

চার রানের আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নেন নেপালের এই ব্যাটার। ৫৪ বলে তিনি খেলেন ৭ চার ও এক ছক্কায় ৪৬ রানের ইনিংস। নেপালের হয়ে বল হাতে যাদু দেখান ললিত ৭ ওভার ১ বলে ১৪ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৪টি উইকেট। জোড়া উইকেট পান সন্দীপ লামিচানে ও কারান কে সি। এক উইকেট করে নেন সম্পাল কামি ও গুলসান।

ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কুশল বুরতেল (১) ও আসিফ শেখকে (৮) হারায় নেপাল। এরপর ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন গুলশান। তাকে সঙ্গ দিয়ে ধৈর্যশীল ব্যাটিং করতে থাকেন বিম শারকি। গুলশান পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৭৫ বলে। শারকির সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে নিশ্চিত করেন দলের জয়ও। ৮৪ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। শারকি করেন ৭২ বলে অপরাজিত ৩৬ রান।