স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশের কোনো নারী ম্যাচ অফিশিয়াল হিসেবে এই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে গিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করবেন সালমা আক্তার। দারুণ এই সুযোগ করে দিয়েছে সাউথইস্ট এশিয়ান গেমস (এসইএ)। এই গেমসের ফুটবল ইভেন্টে সহকারী রেফারির দায়িত্বে থাকবেন সালমা।
১ মে কম্বোডিয়া যাবেন সালমা। ৮ দলের টুর্নামেন্ট চলবে ৩ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত। ‘এ’ গ্রুপে আছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মিয়ানমার ও মালয়েশিয়া। ‘বি’ গ্রুপে কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও লাওস। গত ফেব্রুয়ারিতে এএফসি এলিট প্যানেলে রেফারি হওয়ায় এ সুযোগ পেয়েছেন সালমা। বাংলাদেশের প্রথম নারী ম্যাচ অফিশিয়াল (সহকারী রেফারি) হিসেবে এএফসির এলিট প্যানেলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশের রেফারি জয়া চাকমা তাজিকিস্তানে এএফসি অনূর্ধ্ব–১৪ ফুটবল পরিচালনা করেন। জার্মানিতেও একটি ফুটবল ফেস্টিভ্যাল পরিচালনা করেছিলেন জয়া। তবে দুটি টুর্নামেন্টই তিনি পরিচালনা করেন ফিফা রেফারি হওয়ার আগে। এ প্রসঙ্গে জয়া চাকমা বলেন,‘ফিফার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ অফিশিয়াল হিসেবে সালমাই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে ম্যাচ পরিচালনা করবে। ওর জন্য শুভকামনা রইল।’
গত বছর সাউথইস্ট এশিয়ান গেমসে বাস্কেটবল ও ফুটবল ইভেন্টে রেফারিং করেছিলেন বাংলাদেশের সবুজ মিয়া ও মনির ঢালী। এ বছর হকিতে শাহবাজ আলী ও ফুটবলে সালমা রেফারিং করবেন। বাংলাদেশে জয়া চাকমার পর ফিফা সহকারী রেফারি হন সালমা। দুজনই এএফসি এলিট প্যানেলের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। জয়া না পারলেও সালমা এলিট ঢোকার যোগ্যতা অর্জন করেন। আগামী এক বছর সালমা এশিয়ার যেকোনো স্তরে নারী ফুটবলে সহকারী রেফারির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
বাফুফে রেফারিজ কমিটির প্রধান আজাদ রহমান বলেন, ‘এলিট প্যানেলে ঢোকার পর সালমার এটিই প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। আর এর মাধ্যমে নতুন একটা ইতিহাস হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলে। কারণ, সালমাই প্রথম নারী মাচ অফিশিয়াল (সহকারী রেফারি), যে কি না এলিট প্যানেলের অংশ হয়ে ম্যাচ পরিচালনা করবে।’
কম্বোডিয়ায় ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত সালমা বলেন, ‘এর আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ম্যাচ পরিচালনা করেছি। এখন সাফের বাইরে প্রথমবার করতে যাচ্ছি, সেটাও এলিট সহকারী রেফারি হিসেবে। অবশ্যই অনেক ভালো লাগছে। নিজের মধ্যে একটু উত্তেজনা কাজ করছে। ভালো করলে আরও ম্যাচ পাব। আমি চাই ভালো কিছু করে সামনে এগিয়ে যেতে।’