বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা তীব্র হচ্ছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সফটওয়্যারের ব্যবহার। এই জনপ্রিয়তার ভিড়ে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন আশঙ্কাও। কারণ, ক্ষেত্রটি এখন সাইবার দুনিয়ার দুর্বৃত্ত বা হ্যাকারদের জন্যও আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠছে। এ নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পালো আলটো ইউনিট৪২-এর পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করা হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, গত বছরের নভেম্বরে চালু হওয়ার পর দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’ স্ক্যামারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তারা এআই ব্যবহার করে বা এআইয়ের শব্দশৈলী কাজে লাগিয়ে ও বিভিন্ন ডোমেইনের নামগুলো দিয়ে নানা অপকৌশল খাটানোর চেষ্টা করছে।
পালো আলটো ইউনিট ৪২ বলছে, গত বছরের নভেম্বর থেকে এ মাসের শুরু পর্যন্ত চ্যাটজিপিটি ডোমেইন-সংক্রান্ত বিভিন্ন নামের ডোমেইন নিবন্ধনের হার ৯১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। একই সময়ে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হতে পারে এমন ডোমেইনের নিবন্ধনও ১৭ হাজার ৮১৮ শতাংশ বেড়েছে। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, প্রতিদিন তারা ১১৮টি চ্যাটজিপিটি-সংক্রান্ত ক্ষতিকর ইউআরএল শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। চ্যাটজিপিটির নাম করে পাঠানো এ ধরনের ইউআরএল পাঠিয়ে ব্যবহারকারীর সঙ্গে প্রতারণা করা হতে পারে।
গবেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই তাদের চ্যাটজিপিটির বিনা মূল্যের সংস্করণ ব্যবহারের সুযোগ রেখেছে। তবে স্ক্যামাররা দাবি করে, এই সেবা ব্যবহার করতে অর্থ দিতে হবে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানো হয়। ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামের প্রতারণার কৌশল খাটিয়ে ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক প্রতারণাও করে থাকে দুর্বৃত্তরা। তারা ভুয়া চ্যাটজিপিটি সাইট তৈরি করে রাখে। সেখানে স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করে তারা। চ্যাটজিপিটির নকল করে তৈরি ভুয়া এসব সাইট মূলত প্রতারণার জন্যই তৈরি করা হয়। এ ধরনের সাইটে তথ্য দিলে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ ছাড়া এসব সাইট থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যায়, সেগুলোও সঠিক নয়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে ও অনলাইনে নিরাপদ থাকতে অবশ্যই অনলাইনে সতর্ক থাকতে হবে ও ওপেনএআই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে হবে। সাইটে ঢোকার আগে ইউআরএল ঠিক কি না, তা খেয়াল করতে হবে।
সূত্র: গ্যাজেটস নাউ