জেলা প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ২২টি বাদে সারাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
তবে উপজেলা পর্যায়ের যাচাই বাছাই কমিটি যাদের নাম তালিকা থেকে নামঞ্জুর করেছে, তাদের আপিল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখনো ২২টি উপজেলায় যাচাই বাছাইয়ের কাজ বাকি আছে। সেজন্য অল্প কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। সেগুলো আগামী জুন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
রাজাকারদের তালিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আগে রাজাকারদের তালিকা তৈরি করার বৈধ কোনো এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ছিল না। বিগত দিনে এ নিয়ে জাতীয় সংসদে আইন পাস করা হয়েছে। রাজাকার, আলবদর, আল সামসসহ সব স্বাধীনতা বিরোধীর তালিকা করার জন্য এবং কীভাবে তালিকাটি করা হবে, তা সংসদে পাস করা হয়েছে।
এখন আমরা মুক্তিযুদ্ধ সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাহাজান খানকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করে সে কমিটিকে রাজাকারদর তালিকা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটির মাধ্যমে শিগগিরই রাজাকারদের তালিকার কাজ শুরু হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।
সামনের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের কোনো আবির্ভাব লক্ষ্য করছেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, উগ্র মৌলবাদ, জঙ্গি তৎপরতার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ১৯৭১ সালে যারা আমাদের এ মহান স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি, সেদিনেও তারা বিরোধীতা করেছিল, তাদের বংশধরেরা এখন আরও বেশি সংঘবদ্ধ। তারা সুযোগ পেলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের সরকারকে বিব্রত এবং মহান স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সরকার ওই সব অপশক্তিকে দমিয়ে রেখেছে।
তবে, দেশি বিদেশি প্ররোচনায় ওই অপশক্তি দেশের স্বাভাবিক অবস্থাকে দিগম্বর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ অপশক্তি যাতে এদেশে শিকড় গাড়তে না পারে, সেজন্যসরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জনগণ ও মুক্তিযুদ্ধের সব পক্ষ সচেতন রয়েছে।