স্টাফ রিপোর্টার : সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল) বলেছেন, মানসিক কষ্টে যারা ভোগেন তাদের যদি আমরা আমাদের থেকে আলাদা করে দেই, তা বাসা কিংবা হাসপাতালেই হোক, তাকে যদি আমরা এমনভাবে দেখি যে, স্বাভাবিক মানুষ না। আমরা যখন মানসিক রোগ নিয়ে কথা বলি, তখন ভাবি এটাতো অন্য এক ধরনের সমস্যা যা কখনও ভালো হবে না। এরা আমাদের পরিবারের সমাজের উৎপাদনশীল কাজে আসবে না। কিন্তু আমরা এটা চিন্তা করিনা, সবাই মানুষ, মানুষটার ভালো থাকার জন্য কি দরকার। আমরা তাকে সামাজিকভাবে এমন একটা পর্যায়ে ফেলে দেই, যে হাজার চিকিৎসা নিলেও সে স্বাভাবিক জীবনটা কোন দিন ফিরে পাবে না। মানুষের কাছে সেই সন্মানটা কোনদিন ফিরে পায়না। যাতে সে চিকিৎসা ঠিকমত নিতে বা পেতে পারে, ঐ পরিবেশটা নেই।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে মানসিক স্বাস্থ্য রিপোর্ট প্রকাশ ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে কৌশলপত্র প্রণয়ন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ।
অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ বলেন, মানসিক কষ্টে যারা ভোগেন, তাদের অনেকেই সবসময় দুর্বল মনে করেন, কিন্তু তারা যে সমস্যা এবং কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছেন, সে অনেক শক্তিশালি। তার কাছে যে সহনশীলতা এবং শক্তি আছে, তা আমাদের সবার মধ্যে নেই।
আত্মহত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সুসাইডের কথা বলি, কেনো সে হার মানলো, কোন পরিবেশ তৈরি হয়েছিল যে তাকে হার মানতে বাধ্য করেছে, আমরা এটা চিন্তা করি না। পরিবেশে বা কোন কথা শুনে কষ্টে, সে আর বাঁচতে চায়নি। কোন পর্যায়ে সে ভাবছে আমার মরে যাওয়াটাই ভালো, আমার আর বেঁচে থাকা উচিত না, আমার কাউকে দরকার নাই, এটা কি আমরা কখনও চিন্তা করি না।